পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । ংসারে অন্যাশক্ত হইয়াও ইনি প্ৰজাদিগের কল্যাণের নিমিত্ত যখন স্বাস্থ্য ভগ্ন হইয়া গিয়াছিলেন, তখনও ইনি যথাসাধ্য রাজকাৰ্য্য সম্পাদন করিয়াছেন। অহল্যা চলিয়া গিয়াছেন,-কিন্তু যতদিন চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য থাকিবে, যতদিন ভারতবর্ষে মানুষের চিহ্ন থাকিবে ততদিন পৰ্য্যন্ত এই সর্বত্যাগিনী হিন্দু-বিধবার আদর্শ-মহিমা কৰ্ম্মক্ষেত্রে মহিলাকুলের পরম আদরণীয় ও একমাত্ৰ লক্ষ্যস্থল হইয়া থাকিবে। আমরা যেন শুনিতে পাইতেছি,-জগতের কৰ্ম্ম-কোলাহলের মধ্য হইতে চির বিজয়ী মহাকাল বলিতেছে, “অহল্যা তুমি একদিন ছিলে, এখনও আছে এবং অনন্ত কাল রহিবে, আমার সাধ্য নাই যে তোমাকে আমি ধ্বংস করিতে পারি।” রাজ্ঞী অহল্যাবাই দুহিতার ও জামাতার উদ্দেশে যে স্মৃতি মন্দির প্রস্তুত করাইয়াছিলেন সে সম্বন্ধে প্ৰসিদ্ধ সারজন ম্যালকম বলেন যে, ভারতবর্ষে এইরূপ মাতৃস্নেহের নিদর্শক সুন্দর স্মৃতি সৌধ আর কোথাও নাই । i S S SSSS S ASAqAAS ইন্দোরে মহারাজ্ঞী কৃষ্ণাবাই নিৰ্ম্মিত গোবিন্দের মন্দির অবশ্য দ্রষ্টব্য। স্থানীয় রেসিডেণ্টের প্রাসাদটী একটি উদ্যান মধ্যে অবস্থিত বলিয়া দেখিতে বড়ই সুন্দর বোধ হয়। এখানকার হাসপাতাল অস্ত্ৰ চিকিৎসার জন্য সর্বপ্ৰধান। দেশীয় রাজ্য, কাজেই দেশী প্ৰথানুসারে অনেক স্বামী অবিশ্বাসিনী পত্নীর নাসিক ছেদন করিয়া দেয়, এই সমুদয় কৰ্ত্তিত নাসিকা রমণীরা ছিন্ন নাসা বস্ত্র দ্বারা আবৃত করিয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয় এবং চিকিৎসাগুণে অনেকেরই নাসিকোদগম হয়, সেজন্যও মধ্যভারতে ও রাজপুতনায় এই হাসপাতালের বিশেষ প্রাধান্য । । শিবাজী রাওয়ের পিতা মহারাজা তুকাজী রাও হোলকার নানা সদগুণালঙ্কত নরপতি ছিলেন। তিনি উৎসাহী, পরিশ্রমী ও পরিমিতব্যয়ী ছিলেন। ইনি কৃষিকাৰ্য্যের উন্নতির জন্য বিশেষ মনোযোগী ছিলেন, ইংরেজী, মারাঠী, সংস্কৃত ও পারশী ভাষায় ইহার অভিজ্ঞতা ছিল। মহারাজা দেখিতে দীর্ঘাকৃতি এবং বলিষ্ঠ পুরুষ, অশ্বারোহণে বিশেষ পটু ছিলেন। প্ৰজাসাধারণের অভাব অভিযোগ দূর করিবার জন্য এবং সর্ববিধ নাগরিক উন্নতির জন্য ইহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। তিনি ইংরেজদিগের গৃঢ় কূট নীতি সকল অধ্যয়ন করিয়াছিলেন এবং তঁহাদের ক্ষমতার বিশেষ প্রশংসা