এপ্রেল, ১৯e৯ ] সংক্রামক শোথ । >86 বিস্বচিকা, বসন্ত প্রভৃতি আরো কত শত্রুর নাম করিব ? কিন্তু তদ্ব্যতীত আরো অামাদের সমাজের একটা শক্ৰ আছে, সেটি গোচিকিৎসক বা হাতুড়ে। আমি যে স্বধু উপাধি বিহীন চিকিৎসককে লক্ষ্য করিতেছি তাহা নহে ; যে কোনও চিকিৎসক বিশেষ চিন্তা না করিয়া ঔষধের ব্যবস্থা করেন, তিনিই গো-চিকিৎসক । আমাদের দেশের যদি কোনও ব্যক্তির অজীর্ণ ব্যাধি হইল, অমনি চিকিৎসক মহাশয় তাহাকে পেপসীন ব্যবস্থা করিলেন, একথা কল্পনাপ্রস্থত নহে । কিন্তু পেপলীনে আমাদের উপকার কোথায় ? কেন, আমাদের দেশে কি পেপে জন্মায় না, না নারিকেলোদকের অভাব আছে ? বোলের উপকারিতা আমাদের অপেক্ষা কাহারা জানে? যদি রোগী কি খাইবে জিজ্ঞাস করে, তৰে প্যানোপেপটন, মেলিন ফুড বা হলিক্স ফুড, প্রভৃতি অজ্ঞাত ধৰ্ম্ম, বাসি, ৰিজাতীয় খাদ্যের তালিক লিখিয়া দিয়া বিদ্যাবুদ্ধির পরাকাষ্ঠ প্রদর্শন করি ! কেন, আমাদের দেশে চিঁড়, খৈমণ্ড,সন্দেশ প্রভৃতি কি নাই ? এ সকল খাদ্যের ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না, জানিবার জন্ত লীলায়িতও নহি ! বারাস্তরে, সুবিধা পাইলে, দুই চারি কথা বলিবার মানস রহিল । । সংক্রামক শোথ । লেখক -ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ রায়, এল, এম, এস্ । ( পুৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর ) ইং ১৮৯৪ সালের এপিডেমিক সম্বন্ধে আরও কয়েকটী বিষয় ম্যাকলিয়ড সাহেব লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । তিনি বলেন কলিকাতায় রোগটি প্রথমে আবির্ভাব হয় এবং বেশীদিন থাকে, তাহার কারণ এ স্থানটি একটি ব-দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। ইহার বিপরীত অবস্থা পাৰ্ব্বত্য শীলঙে এবং জল বেষ্টিত মরিসলে বর্তমান থাকায় রোগটি বেশীদিন এই দুই স্থানে থাকিতে পারে নাই । আবার কলিকাতায় যে সব স্বানে রোগের বৃদ্ধি হইয়াছিল সে স্থানগুলি জলাময় এবং জল নিকাশের ব্যবস্থাও এসব স্থানে অতপ্ত নিকৃষ্ট ছিল। চাউল এ সময়ে দ্বগুণ মূল্যে বিক্ৰী । হইয়াছিল এবং নিম্নশ্রেণীর লোকের প্রায় অৰ্দ্ধাশণে বাচিয়া থাকিত । ১৯০১ সালে যে এপিডেমিক কলিকাতায় আবির্ভাব হয় তাহার সম্বন্ধে হেলথ আফিসার ডাঃ কুক রোগের লক্ষণগুলি বর্ণনা করিয়া এক মুটিশ জারি করেন এবং ডাঃ রজাস" (ইনি মেডিকেল কলেজের নিদান শাস্ত্রের erHJfotę ) Šțgtą #f55 “Fevers in the Tropics’ নামক গ্রন্থে কতকগুলি রোগীর বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । তিনি বলেন—যদিও রোগটি তিনটি বর্ধিষ্ঠ এবং সম্রাস্ত হিন্দুর বাটতে হইয়াছিল তথাপি ইহা কেবলমাত্র দেশীয় দিগের মধ্যে সীমাৰদ্ধ ।
