পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| هه جلا واقية ৰস্থা হইতেই স্থানীয় পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধান ব্যতিরেকে, সম্যক উপলব্ধি হওয়া অসম্ভব । পীড়িত|বস্থায় মনুষ্য শরীরের পরিবর্তন সকলের অনুসন্ধান আমাদের মুখ্য উদ্দেশু ও অণু বীক্ষণ সাহায্যে ইহার স্বক্ষ তত্ত্বসকল পর্য্যবেক্ষণ করিয়াও সমগ্র ব্যাপার সকল সময়ে বুঝিতে না পারলে, জন্তুর শরীরে ঐরূপ পীড়া উৎপাদন করিতে হয়। যে সমস্ত পীড়া জন্তু শরীরে উৎপন্ন করা যাইতে পারে, উহাদের জ্ঞান অপেক্ষাকৃত সম্পূর্ণ ও সম্যক্ বলিয়া বোধ হয় ও যে সমস্ত পীড়া জন্তু শরীরে উৎপন্ন করিতে পারা যায় না, উহাদের জ্ঞান অসম্পূর্ণ ও সামান্ত বলিয়াই উপলব্ধি হয় । রোগের কারণ নির্দেশ করা বিশেষ প্রয়োজন । রোগের কারণ সমূহের সম্যক উপলব্ধি ও উহাদের কার্য্যকরী শক্তির পৰ্য্যালোচনা—শারীরতত্ত্ব অধ্যয়নের প্রধান তম উদ্দেশু। নিদানবিদ পণ্ডিতেরা এই বিষয়ের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিবেন । লক্ষণ বা টিমু ও যন্ত্রের বিকার পরিত্যাগ করিয়া যদি কারণ নির্দেশ পূৰ্ব্বক বিবিধ রোগের বিভাগ করা যায়, তাহা হষ্টলে উক্ত পীড়াগুলির জ্ঞান বিষদভাবে উপলব্ধি হয় ও চিকিৎসা কিরূপে হওয়া বিধেয়, সে বিষয়েরও বিশেষ সুবিধা হয়। উদ্ভিজ্জাণু বা জীবাণু মনুষ্য শরীরে অবস্থান হেতু কতকগুলি পীড়া উৎপন্ন হইয়া থাকে। সম্প্রতি এই প্রকার পীড়া বহুব্যাপী বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে আমরা এই প্রকারের কতিপয় পীড়া অপেক্ষাকৃত বড় বড় জীব রোগ, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ । উক্ত ক্রিয়াগুলির । २२> বা উদ্ভিজ্জাত ও সহজে দ্রষ্টব্য বলিয়াই জানিতাম । গত ত্রিশ বৎসরের মধ্যে অণুবীক্ষণের উন্নতি হেতু অজ্ঞাতপুৰ্ব্ব বহুল পারাসাইট জানা গিয়াছে। সাইজোমাইসিটিস্ বা ব্যাক্টরিয়া অনেক সাংঘাতিক পীড়ার কারণ বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। ইহাদের অনুসন্ধান বড় শিক্ষাপ্রদ ও যে পীড়ার সহিত যে ব্যাক্টরিয়ার সম্বন্ধ সেই সব পীড়ার তত্ত্বানুসন্ধান অপেক্ষাকৃত বাড়িয়া গিয়াছে। কি প্রকারে এই সকল উদ্ভিজ্জাণু মনুষ্য শরীরে কার্য্য করিয়া পীড়া উৎপন্ন করে ও ইহাদের কার্য্যকারণ সম্বন্ধ নিৰ্দ্ধারণ করিতে হইলে, ও আবয়বিক বিকারসমূহ কি প্রকারে ঘটিল, তাহার সম্ভবপর উপায় ঠিক হইলে পর, আমাদের উক্ত পীড়া সম্বন্ধীয় অভিজ্ঞতা বাড়িয়া যায় । পূৰ্ব্বেই কথিত হইয়াছে যে, অনেক পীড়াতে ফাঙ্গাস পাওয়া যায়, তৰে কাৰ্য্য কারণ সম্বন্ধ কয়েকটীতে মাত্র স্থিরীকৃত হইয়াছে। ফাঙ্গালু থাকিলেই যে উহাই ঐ পীড়ার কারণ, এমন নহে। যখন ফাঙ্গাস জনিত টিসুর বিকার কার্য্যকরী শক্তির বৈলক্ষণ্য উপস্থিত করে, তখন পীড়া উক্ত ফাঙ্গাস জনিত বলিয়া পরিগণিত হয়, নচেৎ নহে । কোন পীড়ার ফাঙ্গাস আবিস্কার করা উহার কারণ নির্দেশের প্রথম অবস্থা । কি প্রকারে ইহার কার্য্য করিয়া পীড়ার সমস্ত লক্ষণ উৎপন্ন করে, তাগ দ্বিতীয় অবস্থা । দ্বিতীয় অবস্থা প্রথম হইতে কোন অংশেই কম প্রয়োজনীয় নহে। নিদানবিদেরা এই দ্বিতীয় বিষয়টার প্রতি বিয়েষ দৃষ্টি রাখিবেন। যদিও আকৃতিগত