পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলাই, ১৯০৯ ] ভারতীয় ভিষক মহামণ্ডলী । ૨G:જે অল্প আয়াসে ও অল্প সময় শিক্ষা করিতে চান, তিনি যেন জয়পুর যাদুঘরে যান। কলিকাতা মহামন্দিরে প্রবেশ করিলে শিক্ষার্থ আত্মহারা হইয়া যান, ডুবিয়া কোথায় তলাইয়া যান। জয়পুর মন্দির বিজ্ঞান শিখিবার সোপান, কলিকাতার মন্দির বিজ্ঞানের মহান ভাণ্ডার । এই দুইটার কাছে বম্বের যাদুঘরটর তুলনাই হয় না। এটা একটা গৃহস্থের চক্ষুবিনোদনের শোভা-গৃহ ; এখানে শিখিবারও কিছু নাই । প্রবেশ দ্বারের সম্মুখে পার্শি সমাধির স্তম্ভের একটা সুন্দর প্রতিরূপ গঠন । স্তম্ভটর ব্যাস প্রায় উচ্চতার সমান ; মধ্যে গভীর কূপ, গোল রক্ চতুর্দিক হইতে গড়াইয়া আসিয়া কুপকে ঘিরিয়া আছে ; রক্ট কুপকেন্দ্রমুখ তিনটী গোল চক্রে বিভক্ত। প্রত্যেক রক্‌চক্র অসংখ্য ব্যাসাৰ্দ্ধ অংশে বিভক্ত ; প্রান্তের রকৃ চক্রের পরিসর সর্বাপেক্ষা বড় ; অন্তর রথচক্রের পরিসর সৰ্ব্বাপেক্ষ ছোট । প্রত্যেক চক্রটী ব্যাসাৰ্দ্ধ রেখায় বিভক্ত হয়ে ঘরকাটা ঘরকাটা হইয়াছে । ছোট বালক বালিকাদিগের মৃতদেহ অন্তর চক্রের এক একটী ঘরে রাখা হয় । বয়োবৃদ্ধ স্ত্রীপুরুষদিগের লম্বা অনুসারে প্রান্ত বা মধ্য চক্রে রাখা হয় । স্তম্ভের “শীর্ষ” গোল প্রাচীরে রক্ষিত, স্তম্ভের গায়ে একটী ক্ষুদ্র দ্বার অাছে, সেই দ্বার দিয়া উপরে নীত হয় এবং চক্র মধ্যে রাখিবা মাত্রই অসংখ্য শকুনি আসিয়া দেহের মাংস চৰ্ব্বি আদি সব খাইয়া ফেলে । কেবলমাত্র কঙ্কালটী পড়িয়া থাকে ; রক্ত রস আদি গড়াইয়া কুপমধ্যে পড়ে এবং হাড়গুলিকে কুপমধ্যে ফেলিয়া দেওয়া হয়। কৃয়ার নীচে চারিদিক হইতে চারিটি পয়ঃপ্রণালী আসিয়া মিশিয়াছে । বৃষ্টির জলে এবং কখন কখন সমুদ্রের জলে কূপ ধৌত হইয়া যায় । সমাধি স্তম্ভের গঠনপ্রণালী অতি সুন্দর । যাদুঘরে ষাট প্রকারের কিছু অধিক দ্রব্যাদি সঞ্চিত হইয়াছে, দেখিলাম। প্রায় সব গুলিই কঁীচের ছোট বড় ঘর, বাক্স প্ৰবং আলমারীতে সাজান আছে ; নানারকমের পাখী, বিশেষ-সারস, উট, পক্ষী, শিকারী পক্ষী, কেহ পাহাড়ের উপর বা মাটীতে চরিতেছে, কেহ পাহাড় হতে উড়িয়া আসিতেছে, কেহ জঙ্গলের ভিতর লুকাইয়া আছে, কেহ উচ্চ পাহাড়ের গায়ে বাসার মধ্যে বসে আছে, কেহ জলে মাচ ধরে খাচ্ছে, জলে পদ্মফুল ফুটে আছে, পল্পপাতা ভাস্ছে, পিছনে গাহাড়, মধ্যে মধ্যে গাছ বড় ও ছোট, ফুলের গাছে ফুল ফুটে রয়েছে, পিছনের পাহাড় চিত্রিত, হ্রদের জল কঁাচে জলভ্রম মাত্র, বৃক্ষ, লতা পাতার ফুল, কতক বা কৃত্রিম, কতকটা প্রকৃত। এই দৃশুটি । অতি সুন্দর, জীবন্ত বলিয়া বোধ হয় ; নান রকমের সরীস্বপ, গোখুর সাপের ছাল,পৰ্ব্বতে । হরিণ চরিতেছে, বনে সিংহ হরিণ মেরে খাচ্ছে, গাছের উপর বসে ময়ুর তাই দেখছে, ইটাও অতি সুন্দর দৃপ্ত ; জঙ্গলে প্রকাও বন্যমহিষ, গাছে লেমার, তৃণাচ্ছাদিত মাঠে কেঙ্গারু অতি সুন্দর, বনমানুষ, পাহাড়ে ভালুক, কয়েক রকমের সামুদ্রিক মৎস্ত অতি স্বরঞ্জিত, নানা রকমের মাছধরা জাল, গান্ধারদেশে ভাস্কর শিল্প, সমুদ্রবক্ষে নানারকমের সুন্দর সুন্দর নৌকা, গালিচ, মৃৎপাত্র, চন্দনকাষ্ঠের বাক্সাদি, ফুল, বীজ, পাতা, কাংস্তপাত্র,“মসূ." শৈবমূৰ্ত্তি, শৃঙ্গনিৰ্ম্মিত সাপ অতি সুন্দর, কাষ্ঠ দ্রব্য, হাতীর দাতের দ্রব্য, মাটার মূৰ্ত্তি,