পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৯০৯ | বৃহদন্ত্রের সপৰ্য্যায় আবদ্ধতা । ২৮৭ সিগমইড বা অনুপ্রস্থ কোলনের অংশমাত্রের উপস্থিত হুইলে তখন চিকিৎসকের সাহাষ্য উক্ত অবস্থা হইতে পারে । কোমর বন্দ ইত্যাদি দ্বারা উদর গহবর কষিয়া বাধিয় রাখা, উদরের উপর অন্তরূপে বস্ত্রাদির দ্বারা নিয়ত সঞ্চাপ প্রয়োগ, পুনঃ পুনঃ প্রসব জন্ত সরলপেশীর বিযুকতা, বিটপী প্রদেশের বিদা* জন্ত বস্তি প্রাচীরের শিথিলতা, পুরাতন অস্ত্রবৃদ্ধি, ঔদরিক পেশীর অত্যধিক শিথিলতা ইত্যাদি কারণে বৃহদস্ত্র ঝুলিয়া পড়ে । বৃহদস্ত্র বুলিয়া পড়িলে তাহার স্বাভাবিক যে ভাবে গতি ছিল, তাহাও বাধা প্রাপ্ত হয় । মলের গমন পথে বাধা উপস্থিত হওয়ায় তাহ সহজে বহির্গত হইতে পারে না, তজ্জন্ত বৃহদস্ত্র শিথিল, প্রসারিত ও বিবৰ্দ্ধিত হইতে থাকে, এই পরিবর্তন গৌণ ভাবে উপস্থিত হয় । কোষ্ঠবদ্ধতাও তৎসঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয় । যকৃৎ ও প্লীহার নিম্নাংশে স্থিত কোলন এবং সিগমইয়েড প্লেক্সার মোচড়াষ্টয়া যাওয়ার সস্তাবনাক্রমে বৃদ্ধি হইতে থাকে এবং এই অবস্থায় গৌণ ভাবে পাইলোরাসের অংশও মোচড়াইয়া যাইতে পারে । এইরূপ ঘটনায় পাকস্থলী স্থিত খাদ্য বস্তু অন্ত্রে প্রবেশ করিতে না পারায় অান্ত্রিক লক্ষণ সহ পাকস্থলীর লক্ষণ সম্মিলিত হয় । অস্ত্র সামান্ত পরিমাণ মোচড়াইয়া গেলে বিশেষ কোন মন্দ লক্ষণ উপস্থিত নাও হইতে পারে এবং রোগী ও তৎ চিকিৎসক তৎসম্বন্ধে অনভিজ্ঞ থাকাও অসম্ভব নহে । ক্রমিক সঞ্চিত অধিক মল আবদ্ধ থাকার জন্ত তৎগুরুত্বের ফলে অস্ত্র সহসা ঝুলিয়া পড়িলে সহসা আবদ্ধতার সম্পূর্ণ বা আংশিক লক্ষণ ) \ লইতে বাধ্য হইতে হয় । পিচকারী প্রয়োগ ফলে, বদ্ধমল স্থানভ্রষ্ট হইয়া—অন্ত্রের গতিপথে চালিত হইয়া মোচড়ান স্থানে উপস্থিত হয়, তাহার সঞ্চাপনে, অন্ত্রের কৃমিগতির জন্য বা তদ্রপ অন্য কারণ জন্য মোচড়ান স্থানের পথ উন্মুক্ত হওয়ায় মল বহির্গত হইয়া যায় । তৎসঙ্গে সঙ্গে সমস্ত উপদ্রবের শান্তি হয়। কয়েক বার উক্ত অবস্থা উপস্থিত হইলেই তখন সন্দেহ উপস্থিত হয় যে, হয়তো ইহা সাধারণ ক্রিয়াধিকার জনিত কোষ্ঠবদ্ধতা ন হইয়া আরো কিছু হইতে পারে। ইহাই সপৰ্য্যায় আবদ্ধতা । রোগীর পীড়ার পূর্ব বৃত্তাস্তসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিলে এই সমস্ত বৃত্তান্ত বিশেষরূপে অবগত হওয়া যায়,—পূৰ্ব্বে হয়তো পেটের কোন স্থানে বেদন হইয়াছিল— অন্ত্রাবরক ৰিল্লির কোন স্থানের প্রদাহ হইয়াছিল, সে দশ বৎসর পূর্বের কথা, হয়তে রোগী তাহা বিস্মৃ ত হইয়া গিয়াছে । কিন্তু এই সপৰ্য্যায় বৃহদন্ত্রের আবদ্ধতার স্বত্রপাত সেই সময় হইতেই হইয়াছে, তৎপর হইতে পূৰ্ব্ব বর্ণিত লক্ষণসমূহ ক্রমে ক্রমে উপস্থিত হইতেছে, অজীর্ণ পীড়ার লক্ষণসমূহ অনেক দিবস যাবৎ বর্তমান আছে । সামান্য পরিমাণ বক্রতা হইতে তরুণ আবদ্ধতার লক্ষণ সহসা উপস্থিত হইতে পারে সত্য কিন্তু সাধারণতঃ পুরাতন ভাবেই উপস্থিত হইতে দেখা যায়। অসতর্ক অত্যাচারী রোধী হয়তো তাহার রোগের অনেক লক্ষণের প্রতি মনোযোগ প্রদান করেন নাই । অান্ত্রিক উপস্থিত হইতে পারে । এইরূপ অবস্থা ক্রিয়ার অসম্পূর্ণতার অনেক লক্ষণ সে হয়তে