পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৯০৯ ] শিশুদের টিউবারকেল। ᎦaᎼ> অপারকতা ব্যতীত আর কিছুই নহে। হেলিডে সাদারলেও মহাশয়ের মতে "শরীরের বিশেস কোন ব্যারামের প্রবণতা" এবং “সাপারণ প্রবণতা” এই দুইটা ভাবের পার্থক্য করা, আর একই বৃক্ষের এক শাখা হইতে অন্ত শাখায় ভ্রমণ করা ব্যতীত আর কিছুই নহে । ডাঃ মেকেঞ্জিকে যদি জিজ্ঞাস করা যায় যে, টিউবারকুলসিস্ ব্যারাম প্রবণতাযুক্ত শরীরের বা সাধারণ প্রবণ তার কি কি প্রেমাণ অাছে, তবে তিনি এই উত্তর দেন যে, সেই ব্যক্তির সে ব্যারাম হইয়াছে বা হঠবে, ইহাই মাত্র ৩াতার প্রবণতার প্রমাণ । এই প্রমাণের উপরই তিনি বাগ বিতণ্ড আরম্ভ করেন । হেলিডে সাদারলেও মহাশয়ের মতে এই উত্তর ঠিক নয়, স্বধু অৰ্দ্ধেক উত্তর মাত্র । টিউবারকুলসিস ব্যারামের প্রবণতার প্রমাণ এই যে, যদিও প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার জীবনের কোন ংশে টিউবারকেল বেসিলাইর প্রবেশ অনিবাৰ্য্য, তবু তাহদের মধ্যে কতিপয় অংশে যাহাঁদের টিউবারকুলার ব্যারামের প্রবণতাযুক্ত শরীর বর্তমান থাকে তাহদের শরীরেই মুধু এই ব্যারাম প্রকাশিত হয় । টিউবারকুলসিস ব্যারাম উৎপাদনের জন্য টিউবালকেল বেসিলাই স্বধু যদি একমাত্র কারণ হইত তবে অতি পূর্বেই এই ব্যারামে জগং ছাইয়া ফেলিত । অথবা অন্ত প্রকারে বলিতে গেলে ইহা বলা যায় যে, যদি ব্যারামের কোন প্রবণতা না থাকিত তবে এ জগতের সকলেই এই বেসিলাই দ্বারা আক্রাস্ত ও মৃত্যুমুখে পতিত হইত। এই উপরোক্ত মতে যখন ড: মেকেঞ্জি হাস্যাম্পদ করিতে প্রয়াস পান, তখন তিনি বলেন যে, টিউৰাংকুলসিস ব্যারামের এই প্রবণতাই যদি কারণ হয়, তবে গরুর ৰসস্ত ও ইচ্ছ। বসন্তের আক্রমণের জন্য প্রবণতার বিশেষ প্রয়োজন এবং ইহার পর তিনি আর কোন মতামত প্রকাশ করেন নাই । কারণ, আমরা দেখি যে, সাধারণতঃ সমস্ত বিশেষ ব্যারামেরই প্রবণতা আছে এবং জীবন নিজেই ব্যারামের প্রবণতার সমষ্টি মাত্র। পূৰ্ব্বের চিকিৎসকগণ টিউবারকুললিস্ ব্যারামে শরীরের একটী বিশেষ অভ্যাস বর্ণনা করিয়াছেন এবং ইহাকেই তাঙ্গাপ্পা টিউবারকুলসিস্ ব্যারাম প্রবণতা বলিয়া বর্ণনা করতেন। অধুনা ইহাকেই আমরা প্রবণতা, প্রবণতাযুক্ত শরীর, শরীর রক্ষা করিবার শক্তির অভাব বা অপারকতা ইত্যাদি বলিয়া ব্যাখ্যা করি । কিন্তু ডাঃ মেকেঞ্জি মহাশয়ের মতানুসারে আধুনিক বিজ্ঞানানুরূপে ইহার প্রকৃত কারণ ও স্বভাবের বিষয় অনুসন্ধান করা আমাদেরই কাৰ্য্য। আধুনিক ব্যাখ্যানু সারে তাহাদের ঠিক স্বভাবানুরূপ নাম হয় নাই বলিয়াই ঐতিহাসিক নামের উপর আক্রমণ করা আমাদের কদাচ উচিত বলিয়া মনে হয় । এখন জিজ্ঞাস্ত এই যে, টিউবারকুলসি দূ ব্যারামের প্রবণতার দুৰ্ব্বলতা কোন স্থানে ষ্ঠস্ত আছে ? এই প্রশ্নের উত্তর হেমিণ্টনের মতেই পাওয়া যাইতে পারে—এই হেমিণ্টন ব্যারাম উৎপত্তির কারণ ও তদ্বিষয়ক অভিজ্ঞতায় এমন সুনিপুণ ও বিজ্ঞ যে, এই বিষয়ে তাহীকে শিক্ষক বলিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে। এই হেমিলটন মহাশয়েয় মত এই :-খুব সম্ভবতঃ এই দুৰ্ব্বলতা শরীরের চৰ্ম্মে—যাহা দ্বারা শরীর আবৃত থাকে ও