পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরীর পোষণে চিটেনডেন। লেখক—শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার দেবেন্দ্রনাথ রায়, এল, এম, এস। ( পুৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর ) পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে যে চিটেনডেন বলেন যে, আমাদের শরীরের অভাব অনেক কম প্রটিড দ্বারা পূরণ করা যায়। যে সব খাদ্যের তালিকা (Standard) পুৰ্ব্বে শারীর তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ কর্তৃক ধাৰ্য্য ছিল তাহাতে প্রটিডের মাত্রা অত্যন্ত বেশী ছিল ; যেমন Voit qą NC5 2.f5 o sv sstn, Dujardin Beaumetj ¢qa (IÇö > R 8 &ţraI, Foster<a3 মতে ১১৩, Landois এর মতে ১২০ গ্ৰাম, Playfair এর মতে ১১৯ গ্রাম । চিটেনডান অনেক পৰ্য্যবেক্ষণের পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন । তিনি তিন জন ব্যবসায়ী লোকের উপর পরীক্ষা করেন ; এই তিন জন ৩৬–৫৫ গ্রাম ওজনের প্রটিড খাইয়া ৬–৭ মাস জীবিত ছিল । ৮ জন খেলোয়াড় ও ১৩ জন সৈনিক বিভাগের হাসপাতালের লোক ৫০-৫৬ গ্রাম প্রটিড খাইয়া ৫ মাস ছিল । পরীক্ষার শেষে চিটেনডেন দেখেন যে তাহাদের পৈশিক শক্তির হ্রাস না হইয়া অপরস্তু অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়াছে । ১৫টা ব্যায়ামের পরীক্ষা দ্বারা ইহাদের শক্তির বিচার করা হয় । দেখা যায় যে, সকলেই অত্যন্ত বলবান হষ্টয়াছে এবং অপরিমিত পরিশ্রমে ; পরও তাহারা শ্রম কাহাকে বলে জানে नांझे । {ံ এষ্ট সঙ্গে চিটেনডেন ফিসারের (Fisher) পরীক্ষার ফল, অধ্যাপক জাফার (Jaffa) পরীক্ষার ফল—ইহা চীনদেশীয় লোবের মধ্যে দেখা হয়—এবং স্বদুর জাপানে পরীক্ষিৰ ওশিমার (Oshima) গবেষণার ফল সন্নিবেশি ত করিয়াছেন । ইহাদের সকলেই আতাস্ত কম প্রটিড ব্যবহার করাইয়া দেখিয়া ছিলেন । এই সব গবেষণার ফলে চিটেনডেন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, নাইটে - জেনের সমতা রক্ষা করিতে হইলে শতকরা ৫০ ভাগ কম প্রটিডের আবশুক হয় এবং এই সঙ্গে অপর দুষ্ট জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করিবার একেবারেই আবগুক হয় না। র্তাহার মতে ৭০ কিলো বা ১৫৪ পাউণ্ড ওজনের এক ব্যক্তি ৬০ গ্রাম প্রটিড খাইয়া ৰেশ সচ্ছদে থাকিতে পারে । চিটেনডেন আরও বলেন যে, সকল প্রকার খাদ্যের পরিপাক এক সময়ে হয় না এবং যদিও কোন খাদ্যের নাইটোজেনের মাত্রা অত্যন্ত বেশী ( যেমন ডাল ইত্যাদি ) কিন্তু ইহাদের পরিপাক হইতে অনেক বেশী সময় লাগে এবং ইহাদের সমস্ত নাইটোজেন শরীরে শোষিত হয় না । এষ্ট কারণে উদ্ভিজ খাদ্যের নাইটোজেনের সহিত জাস্তব খাদ্যের নাইটোজেনের অনেক প্রভেদ । আর একটা বিশেষ কথা চিটেনডেন এই সঙ্গে বলিয়াছেন । মাংসাশী জীবের অন্ত্র মধ্যে যে সৰ জীৰাণু দেখিতে পাওয়া যায়