পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেব্রুয়ারী, ১৯০৯ ] পাকস্থলীর ক্ষত। 8-9 যাহারা মরিয়া যাওয়ায় পর শব ব্যবচ্ছেদ কালিন দেখিয়াছিলেন যে, পুরাতন এপেণ্ডিসাইটিস, ও নুতন পাকস্থলীর ঘা একত্রে বিদ্যমান। তৃতীয়ভাগে –৭টা রোগী, যfহাদের পাকস্থলীর ঘার সব লক্ষণ বিদ্যমান আছে কিন্তু পূৰ্ব্বে এপেণ্ডিসাইটিসের জন্য চিকিৎসিতও হইয়াছিল। যদিও তাহীদের অস্ত্র চিকিৎসা হয় নাই। চতুর্থ ভাগ—যাহাদের পাকস্থলীর ঘায়ের লক্ষণ বিদ্যমনি ছিল কিন্তু কোনও দিন এপেণ্ডিসাইটিস রোগের জন্য চিকিৎসিত হয় নাই ও এই রোগ অাছে বলিয় ও মনে কর হয় নাই, তবুও তাহদের জীবনের ইতিহাস শুনিলে তাহীদের এপেণ্ডিসাইটিস হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় । পঞ্চম ভাগ—এই ভাগে পাকস্থলীর ঘার রোগীর যদিও কোন দিন পুরাতন এপেণ্ডিসাইটিসের লক্ষণ নিজে উল্লেখ করে নাই তবুও তাহাদের এপেণ্ডিক্সের স্থান পরীক্ষা করিলে অনুমান হয় যে —তাহার পুরাতন এপেণ্ডিসাইটিসের রোগী । উপরুক্ত এপেণ্ডিসাইটিসও পাকস্থলীর ক্ষতের সম্বন্ধ দেখিয়া মেনহাট মহাশয় প্রকৃতই আশ্চর্য্য হইয়াছেন, ৩৬টা অবধারিত পাকস্থলীর ঘার রোগীর মধ্যে ২৩টতে পুরাতন এপেণ্ডিসাইটিসের লক্ষণ বিদ্যমান ছিল এবং তিনি মনে করেন যে, এইরূপ সম্বন্ধের একটা বিশেষ কারণ ও সম্বন্ধ যে আছে, তাহার কোন সন্দেহ নাই । এই কারণে পেয়ার মহাশয়ের মতানুযায়ী মেনহাট মহাশয়ও মনে করেন, যে ইহা এপেণ্ডিক্সের বা তাহার নিকটের কোন এসেপটিক এম্বলাই জনিত । তিনি মনে করেন যে, যদিও অনেক সময়ে পুরাতন এপেণ্ডিসাইটিসের অস্ত্র চিকিৎসার কোনও কারণ দেখা যায় না, তবু উপরু জ্ঞ কারণে পুরাতন এপেণ্ডিসাইটস্ রোগে অস্ত্র চিকিৎসা হওয়া উচিত ও এপেণ্ডিক্স কাটিয়া ফেলা কৰ্ত্তব্য । তিনি আরও মনে করেন যে, যখনই এপেণ্ডিসাইটিসের অস্ত্র চিকিৎসা হয় তখনই পাকস্থলীর অবস্থা ( বিশেষতঃ ঘায়ের জন্ত ) পরীক্ষা করা বিশেষ দরকার । এই সমস্ত রোগী অল্প বিধায় আমাদের মন্তব্য আস্তে আস্তে স্থির করা উচিত । এস্ মাটিন মহাশয় মনে করেন যে, যে সমস্ত ঘা পাইলেরিক অংশে উৎপন্ন হয় এবং যে স্থানে পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের পচন নিবারক শক্তি বিশেষ প্রকাশ পায় ন, সেই সমস্ত ঘা ব্যাকটেরিয়া উৎভূত পচন জনিত উৎপন্ন হয় । এই ঘা আঘাত, রাসায়ায়নিক পদার্থ ও উত্তপ্ত খাদ্য জনিত বলিয়া অনেকে মনে করেন কিন্তু ইহা ২৪টা রোগী ব্যাতিত কোথাও দেখা যায় नां । লক্ষণ । অল্প রোগীতেই এই ঘার কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না ; এবং এই লক্ষণ সেই পৰ্য্যন্ত লুক্কায়িত ভাবে থাকে যখন রোগী হঠাৎ রক্তবমন করিয়াই ঘার প্রথম লক্ষণ প্রকাশ করে। অনেক স্থলে রোগীর পাকস্থলীর ৰিল্লির শ্লেষ্মার বা অন্তান্ত রকম ডিসূপেপসিয়ার লক্ষণ সকল,—খাওয়ার পর পেটে বেদনা, পেট ফাপা এবং সময় সময় ৰমন ইত্যাদি প্রকাশ পায় কিন্তু প্রকৃত দৃষ্টান্ত জনক রোগীতে বেদন ও বমনের সহিত রক্ত দেখা যায়। বেদনা নাভীর উপরে,