মাচ, ১৮৯২ ] মাংস ভাল ; নতুবা রস অধিক পরিমাণে নির্গত হইলে জানিবে যে মাংস তাজা নহে । মন মাংসের রস পরীক্ষা-কাগজে স্পর্শ করিলে ক্ষার জানা যাইবে । উত্তম মাংসের উপরিভাগ প্রায় শুষ্ক থাকে এমন কি ২।১ দিন রাখিলেও শুষ্কভাব থাকে । ৫মতঃ । মাংসপেশীগুলি বেশী মোট হইবে না এবং লম্বা হইবে না; কিম্বা পেশীর মধ্যস্থলে যেমন পচা জলের ন্যায় কোন বস্তু বা রস নির্গত হইবে না, তাহা হইলেই মাংস উত্তম জানিবে। ৬ষ্ঠতঃ । মাংসে সামান্য সুগন্ধ হইবে কোন প্রকার বাসি কিম্বা পচা গন্ধ হইবে না । যদি কিঞ্চিং দুর্গন্ধ হইয় থাকে তাহা হইলে জানিবে যে পচনকাৰ্য্য আরম্ভ হইয়াছে কিম্বা রুগ্ন জীবের মাংস ৷ এক টুকরা মাংস কাটিয়া তাহ গরম জলে ডুবাইলে দুৰ্গন্ধ উত্তমরূপে পাওয়া যাইবে। আরও যদি সম্পাদকের সন্তুষ্ট। কাগজ স্পর্শ দ্বারা এসিড জানা যাইবে, সেই একখানি পরিষ্কার ছুরিকা দ্বারা মাংস দ্বিখ গু কর, তৎপরে যদি ছুরিকাৰ আগ্রাণ লও, তাহা হইলেও ভালরূপে জানিতে পরিবে । যদি মাংস পরীক্ষায় কিঞ্চিৎ সন্দেহ জন্মে, তাহা হইলে অণুবীক্ষণ দ্বারা মাংসপেশী দেখিলে স্পষ্ট লক্ষিত হইবে । অতিক্ষুদ্র “সিটিসেরসাই" এবং “টি চিনি” নামক কীট ভালরূপে দেখিতে পাইবে। যদি সমুদায় জন্তদেহ পাওয়া যায়, তাহা হইলে তাহার মস্তিস্ক পরীক্ষা করিবে এবং যকৃৎ দেখিবে তাহাতে হাইডেটড পাওয়া যায় কি না । ফুসফুসে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংখ্যাতীত বিস্ফোটক অাছে কি না । এবং পঞ্জরাস্থির সহিত পুরায় সংমিলন আছে কি না। আর আর অন্যান্য রোগ পরীক্ষা করিতে হইলে মুগের অভ্যন্তর, পাকস্থলী, অন্ত্র প্রভৃতি দেখিতে হইবে । ( ক্রমশ: ) সম্পাদকের সন্তুষ্টি । স্বীয় লালিত ও পালিত বৃক্ষ ফুল ও । ফলে পরিণত হইতেছে নয়নগোচর করিয়া কোন এমন উদ্যানরচয়িত আছেন যে তিনি আনন্দ-সাগরে ভাসমান না হরেন ? কে এরূপ স্থলে সেই মুকুলোদগমে স্বীয় 哆 হৃদপদ্ম প্রস্ফুটন্ত A পায়েন ? অাজ অামাদের সম্পাদক মহাশয়ের অতি যত্বের ও সাধের "ভিযক দৰ্পণ”ৰূপ বৃক্ষে ৰসস্তের পদার্পণে ক4কট ফুল ফুটিয়াছে ও তাহার চিত্ত আনন্দে বিহ্বল হইয়াছে। আনন্দ, বাৰ্ত্ত বন্ধুবর্গের কর্ণগোচর না করিতে পারিলে কোনরূপেই মনের স্থৈৰ্য্য ও শান্তি-সাধন হয় না । আমাদের সম্পাদকের Lসই আনন্দ সম্বাদ আমাদের বন্ধুবর্গের শ্রুতিগোচর করণার্থ নিম্নে গ্রেরিত সংবাদ প্রবন্ধ প্রসুনরূপে “ভিষক দর্পণ”রূপ বৃক্ষের পত্রপাশ্বে শোভনার্থ প্রকাশিত করা হইল :
