s». ङिषट्-प्न*१ ॥ [ এপ্রেল, ১৮৯২ প্রকার শৈত্যসংযোগে তথার প্রদাহ উৎপন্ন . হয়। কেবল যে শৈত্যসংযোগ আর ফুস ফুসে আমুপুৰ্ব্বিক প্রকৃতিবশতঃ দৌৰ্ব্বল্য, এই দুয়ের একত্র সংঘটনেই ফুসফুসে প্রদাহ উৎপন্ন হয়, তাহাও বলিয়া বোধ হয় না ; কfরণ, ডাক্তার ট্যানার ও ডাক্তার মেডোস উল্লেখ করেন যে জুরগেন্সেন ( Jurgen৪en ) বলতেন,ফুসফুস প্রদাহ ম্যালেরিয়ার মত কোন বাহ্য রোগবীজ কারণে উৎপন্ন হইবার সম্ভাবন । ইদানীন্তন প্যালামে। নগরনিবাসী ডাক্তার জি, লিগারী সাহেব শৈত্য সংযোগে যে ফুসফুস প্রদাহ উৎপন্ন হয়, তাহা বিশেষরূপে প্রতিপন্ন করিয়াছেন । । তিনি বিশেষ পরীক্ষা দ্বারা প্রতিপাদন করিয়াছেন, নিউমোকক। রোগবীজ আক্রমণে মৃত জস্তগণের ফুসফুস’ প্রদাহোদগত শ্লেষ্মা, অথবা তাহাদিগের ফুসফুস-আবরণসস্তৃত ক্ষরণ অন্যান্য সুস্থ জন্তুদিগের শ্বাস-প্রণালীর ভিতর প্রবেশ করাইলে, তাহারা ফুসফুস প্রদাহ দ্বারা আক্রান্ত চয় না ; কিন্তু উক্ত প্রকারে পরীক্ষাধীন হইবার পূৰ্ব্বে কিম্বা পরে যদি সেই সকল জন্তু শীতল বাতাস ও শীতল স্থানে সংরক্ষিত হয়, তাহা হইলে তাহার ফল সম্পূর্ণ বিভিন্ন হইয়া পড়ে। এই রূপ পরীক্ষীকৃত ৮টা জন্তুর মধ্যে ৬টী ফুসফুস প্রদাহরোগগ্ৰস্ত হঠয়া মরিয়া যায় । এতদ্বাবা ডাক্তর লিপার সাহেব অনুমান করেন শৈত্যসংযোগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্বাস প্রণালীর সিলিয়েটেড এপিথিলয়াম কাৰ্য্য ও পশশক্তিরহিত হয় এবং উক্ত শ্বাস প্রণালী সমূহের শ্লৈয়িক ঝিল্লি স্ফীত হইয়া উঠে । এই উভয় নৈদানিক ঘটনা উপযুক্তি সংক্রামক পদার্থের অধোগমন কার্য্যে ও তৎসহ &atfürüfrif& ( Alveoli ) we;wr* প্রবেশনে সাহায্য করে । শৈত্য-সংযোগে যে কি মৈদানিক নিয়মানুসারে প্রদাহ উৎপন্ন হয়, তাহ এস্থলে বিবৃত করিবার উদ্দেশ্য ছিল না বলিয়। এখানে তদ্বিষয় কিছু মাত্র বর্ণনা করা হইল না ; তবে এটুকু আমাদের চিত্ত ফলকে স্পষ্ট অঙ্কিত হইল যে, অবস্থা বিশেষে শৈত্য ংযোগে কোন কোন লোকের ফুসফুস-প্রদাঙ্গ জন্মিয় থাকে । ফুসফুস-প্রদাহ যেমন বিবিধ প্রকৃতি বিশিষ্ট ও অবস্থাপন্ন হইয়া থাকে, উহার চিকিৎসাও তদনুয়ায়ী বিবিধ প্রকারের প্রচলিত আছে । এস্থলে শীতোৎপন্ন ফুস্থফুস প্রদাহ শৈত্যসংযোগে উপশম প্রাপ্ত হয়, তাহাই বর্ণিত হইবে । প্রায় ২০ বৎসর কাল অতীত হইল স্ববিখ্যাত ডাক্তার নাইমেয়ার ( Niemeyer) সাহেব ফুসফুস্থপ্রদাহ রোগে কোল্ড কম্প্রেসূ রূপ শৈত্য প্রয়োগ ব্যবস্থা করেন, কিন্তু তিনি নিজেই কিছু দিন পরে এই ব্যবস্থা রোগীদিগের মনোনীত নহে বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন । ডাক্তার ট্যানার ও ডাক্তার মেডোস মহোদয়গণ র্তাহাদের প্রাকটিস অফ মেডিসিন পুস্তকে শৈত্যের বাহ্য প্রয়োগ ফুসফুলপ্রদাহে ব্যবস্থা করেন নাই বটে কিন্তু শীতল জল ও বরফ বহুল পরিমাণে রোগীকে দিতে বলিয়াছেন । উক্ত ডাক্তার স্বয় ঐ পুস্তকে স্থানাস্তরে ফুসফুস প্রদাহে জরোত্তাপ লাঘব । করশার্থে শৈত্য ব্যবস্থা করিয়াছেন ; ইহাতে
