পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

در ع ভিষক-দৰ্পণ । [আগষ্ট, ১৮৯১ দেখিয় গেলেন, তখন রুগ্ন স্ত্রী অনেক স্বস্থা | ছিলেন, এমন সময়ে হইয়াছেন। সন্ধ্যার কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে রোগিণী পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক অসুস্থা ও অস্তির হইয়া পড়িলেন ; রোগিণী সমস্ত দিনে কোন খাদ্যই গলাধঃকরণ করিতে পারিলেন না । চিকিৎসকগণ, আবার ঐ সময়ে উপস্থিত । হইলেন ; গৃহ মধ্যে আলোক লইয়া গেলে রোগিণী ভয়ানক চীৎকার করিয় উঠে দেখিয়া, ডাক্তার সাহেব অন্ধকারেই পিচকারী দিলেন । রুগ্ন কিছু ক্ষণের জন্য স্তব্ধ হইলেন । ক্ষণ পরে, চিকিৎসকের কথাবার্তা শেষ করিয বাড়ী ফিরিবার উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময় বাটীর সকলে চিকিৎসকগণকে, তার একবার রোগিণীকে দেখিবার জন্য অনুরোধ করিলেন । তদনুযায়ী চিকিৎসকগণ যাইয়া, রোগিণীকে একেবারেই সংজ্ঞাষ্ট্ৰীনা, স্পনদহীন ও নিশ্চল নিরীক্ষণ করিলেন ; দেখিলেন, নিশ্বাসও নাই নাড়ীও নাই । মুতু্য স্থির জানিয়া অগতা কিয়ৎ ज९{ना র্তাহার গৃহ স্থকে দিলেন যে, এ বিযম যন্ত্রণাদায়ক রোগে শীঘ্ৰ মৃত্যুই মঙ্গল কারণ। পরে গৃহস্তের জাতীয় প্রথানুযায়ী পুরোহিত আসিয়া রুগ্নার মঙ্গলার্থ শেষ ক্রিয়া সমাধা করিলেন । বন্ধু ও প্রতিবেশীরা আসিয়া উপস্থিত হইলেন । অণ্ডারটেকার কফিন প্রস্তুত করিবার ভার লইলেন, পরিশেষে মৃত্যুর সার্টফিকেট ও প্রদত্ত হইল। এই সমস্ত ঘটনায় প্রায় ১৫ মিনিট সময় অতিবাহিত হইল ; পরিশেষে সকলে যেমন দ্বিতল হইতে সি{ড় দিয়া এক তলে নামিয়া আসিতে বুঝাষ্টয়া রোগিণী গৃহমধ্য হইতে বিকট চীৎকার ফরিতে আরম্ভ করিলেন । গৃহস্থেবা ভয়ে ও বিস্ময়ে গৃহ ছাড়িয়া পলায়ন করিল । কাহারও সাহস হইল না যে, গৃহ মধ্যে প্রবেশ করে । চিকিৎসকের গৃহ প্রবেশ করিয়া রোগিণীর সহিত কথা বাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন, তৎকালে বোধ হইল যেন রোগিণীর কোন অ মুখই নাই ; কিন্তু নাড়ী বড় দুৰ্ব্বল ও নিশ্বাস আস্তে আস্তে বহিতেছে । কিছু ক্ষণ পরে, বাহিরের লোক ডাকাইয়। রোগিণীর তত্ত্বাবধানের ভার দেওয়া হইল । অবশেষে ডেথ সার্টফিকেট ফেরত লইয়া চিকিৎসকের বাট প্রত্যাগমন করিলেন । তৎপরে রোগিণী প্রায় ৬ ঘণ্টা কাল জীবিত থাকিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন । পাঠক ! দেখুন, কি অদ্ভূত ঘটনা ! সহর ও সাহেব বাট বলিয়৷ অধিক গোলযোগ হইল না ; পল্লী গ্রাম ও পল্লী গ্রামবাসী হইলে কি ভয়ানক ঘটনাই ঘটিত ! হয়ত, প্রতিবেশিগণ দীন পাইয়াছে বলিয়া, সাবোল ও কুঠারাঘাতে রোগিণীকে জীবিতা বস্তায় মারিয়া ফেলিত । K. এক্ষণে ইহা হইতে আমরা এই শিক্ষা লাভ করিতে পারি যে, এই পীড়ার প্রথমাবস্থায় হিষ্টিরিয়া বলিয়া ভ্রম হইতে পারে ; অতএব ইহার নির্ণয়তত্ত্ব ও ভাবিফল সম্বন্ধে নিজ অভিপ্রার প্রকাশ করিতে অতি সাবধান হওয়া উচিত । এই রোগে শ্বাস ক্রিয়ার পেশী সমূহের আক্ষেপ অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত গাকিয়া শ্বাসরোধ করিতে পারে,তন্নিমিত্ত কিঞ্চিৎ বিলম্ব করিয়া মৃত্যু নিশ্চয় করা উচিত