পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৮৯১ শিশুদিগের যকৃতের বিলিয়ারী সিরোসিস্ । ○ > শিরা সমূহ স্ফীত হয়, পেরিটোনিয়ামে জলের সঞ্চার হয়। পায়ের ইডিমা ( রস ) ও জণ্ডিস, লক্ষিত হয়, এবং মৃত্যুর পূৰ্ব্বে আমি পেরিকার্ডিয়েমে পর্য্যন্ত একবার জল দেখিয়াছিলাম । রোগের ভোগ ৪ মাস হইতে দেড় বৎসর পর্য্যন্ত । নিদান তত্ত্ব । মেডিকেল কলেজের নিদানতত্ত্ব অধ্যাপক ডাক্তার গিবন স এই রূপ চারিটি লিভারের পোষ্ট মরটেম পরীক্ষা করিয়াছিলেন। তিনি বলেন এ রোগে লিভারের সেলস ( কোষ সমূহ ) প্রায় একেবারে লুপ্ত হইয়া যায় ও তৎপরিবর্তে সেীত্রিক বিধান যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যায় । লিভারের আয়তন অনেক বড় হয়, তাহার উপবিভাগ হরিদ্র। বর্ণ হয় ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নডিউল ( গুটিকা ) দ্বারা আবৃত থাকে। পিত্তাধার সঙ্কচিত হইয়া যায় ও তাহাতে প্রায় কিছু মাত্র পিত্ত থাকে না । আবরক ঝিল্লি মোটা হয় না । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, এ বোগের প্রকৃত কারণ এখন পর্য্যন্ত কেহ নির্দেশ করিতে পারেন নাই । ডাক্তার গিবন স অনুমান করেন যে, কলিকাতার তুমি মধ্যস্থিত নিষ্ক্রামক পয়োনালীর সহিত এরোগের সম্বন্ধ অাছে, কারণ নিষ্ক্রামক পয়োনালী নিৰ্ম্মাণের পূৰ্ব্বে ইহা বড় লক্ষিত হইত না ; কিন্তু আমি বিশেষ অনুসন্ধান করিয়া দেখিয়াছি যে, ইহা নিষ্কামক পয়োনালী নিৰ্ম্মাণের অনেক পূৰ্ব্বে কলিকাতায় দেখা যাইত । প্রায় ৩৫ বৎসর পূৰ্ব্বে কোন সন্ত্রান্ত ভদ্র লোকের তিনটী সন্তান উপর্যসুপরি এই বোগাক্রান্ত হইয়া পঞ্চস্থ প্রাপ্ত হয় । আমি র্তাহার তৎসাময়িক ডায়রী দেখিয়াছি এবং তন্মধ্যে যে যে লক্ষণ বর্ণিত আছে,তাহ। পাঠ করিলে এ বিষয়ে আর কোন সন্দেহ থাকে না । ডাক্তার গিবন স আরও বলেন যে, মুসলমানদের মধ্যে এ রোগ দেখিতে পাওয় যায় না, কিন্তু আমি ৫ বৎসরের মধ্যে ৪টা মুসলমান শিশুর মৃত্যু হইতে দেখিয়াছি। দুইট বিষয় ভাবিয়া দেখিলে বোধ হয়, রোগের কারণ নিদেশ করা যাইতে পারে । ১ম । এরোগ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বড় দেখা যায় না । বুঝিতে পাবা যায় (ক) যাহার। সন্তানদিগকে গাভী দুগ্ধ প্রচুর পরিমাণে দিতে পারে না, তাহাদের মধ্যে দেখা যায় না । (খ) যে শিশুর সৰ্ব্বদা গুহ মধ্যে আবদ্ধ না থাকিয়া বাহিরের বায়ু প্রচুর পরিমাণে সেবন করে, তাহীদের মধ্যেও হয় না । অাম পী সকলেই জানি যে, স্থানের অনাটন প্রযুক্ত দরিদ্রদেব সন্তানগণ অধিকাংশ সময় বাটীর বাহিরে থাকে । আর ইঙ্গও জানি যে, আমাদের ভদ্রলোকদের মধ্যে শিশুদিগকে প্রত্যহ বায়ু সেবন করান প্রথা অতি অল্পই দেখা যায় । ২য় । প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় যে, এক জনের ৩৪টা বা ততোধিক সন্তান এ রোগে উপৰ্য্যুপরি মারা গিয়াছে। এ স্থলে স্বভাবতঃ মাতৃ দুগ্ধ সম্বন্ধে সন্দেহু উপস্থিত হয় । আমাদের সহরের ভদ্র মহিলাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা কিরূপ তাহ। সকলেই অবগত আছেন ; লিভারের ক্রিয়ার শৈথিল্য হেতু, অজীর্ণ ইহাদের অধিকাংশে ইহাতে