পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ ভিষক-দ পণ । [আগষ্ট, ১৮৯১ শিরা ও কৈশিকা প্রাচীর ভেদ করিয়া ভিতর হইতে বাহিরে নির্গত হইতে থাকে । কন হিম বলেন, এইরূপ অবস্থার একটি শিরা বা কৈশিক পরীক্ষা করিলে দেখা যায়, প্রথমে তাহাব প্রাচীরের একস্তান বাহিরের দিকৈ ফুলিয়া উঠে । ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায় এবং ইহা একটি গোলাকার বর্ভুলের ন্যায় দেখায়। ইহার পর এই বৰ্ত্ত লাকার উচ্চতা হইতে অনেক গুলি শাখার ন্যায় প্রবর্দ্ধন চ তুর্দিকে বহির্গত হয় এবং ক্ষণ পরে এই কোষকে ঐ রূপ একটি মাত্র শাখা দ্বারা নাড়ীপ্রাচীরের বাঙ্গিরের দিকে সংলগ্ন দেখিতে পাওয়া সায়। পরক্ষণেই এই সংযোজক শাখা বিচ্ছিন্ন হষ্টয়া যায় এবং এই অবস্থায় এই কণিকাকে একটি বর্ণহীন, শাগবিশিষ্ট এক অথবা রক্তকেষাণুবিশিষ্ট সঙ্কোচনশীল ক্ষুদ্র পদার্থ রূপে নাড়ীর বহিদেশে দেখা যায় । স্থানে যেমন এই একটি কণিকার বহিগমন দেখা যায়, শিরা-প্রাচীলের আলি ৪ অনেক স্থানে এইরূপ ঘটনা দেখা যাইতে পারে । এই রূপে শিরার বহিদেশে অনেক শ্বেত কণিকা আসিয়া উপস্থিত হয় এবং নাড়ী প্রাচীরের ভিতৰ দিকে যেমন এক সারি শ্বেত কণিকা দেখা যায়, প্রাচীবেল বাহিরেও অনেক গুলি কণিক-শ্রেণী দেখা যায । এই সকল শ্বেত কণিক। প্রাচীরের এই উচ্চতা এ ক যে অভ্যস্তর হইতে বাহিরে আইসে তাহাতে সন্দেহ নাই । কিন্তু ঠিক কোন মুহূর্তে যে কোন কণিকাটি প্রাচীর ভেদ করে তাহা অনেক সময়েই দেখা যায় না। এই র-ভেদ ঘটনা শিরাতে বিশেষরূপে W.

দেখা যায়, ধমনীতে একবারেই দেখা যায় না । কিন্তু কৈশিক নাড়ীতে এই শ্বেত কণিকা দ্বারা প্রাচীর ভেদ অতি স্বন্দর রূপে প্রতীয়মান হয় । অধিকন্তু কৈশিকা হইতে লোহিত কণিকা সকলও প্রাচীরের বাহিরে নির্গত চয় । কি শিরা, কি ধমনী অার কোথায় ও এরূপ ঘটনা লক্ষিত হয় না । অনেকে অনুমান করেন, কৈশিক নাড়ীর প্রাচীরের কোষগুলির গাত্র ভেদ করিয়া শ্বেত কণিকাগুলি নাড়ীর বহির্দেশে গমন করে, আর লোহিত কণিকাগুলি কোষের গাত্র ভেদ করে না, কিন্তু দুই বা রক্ত কোষের মধ্যস্থিত স্থান দিয়া বাহিরে চলিয়৷ মায় । রক্ত-কণিকার প্রাচীর-ভেদ ব্যাপার কন হিমের অনেক দিন পূৰ্ব্বে ষ্ট্রাইকার দেখিয়াছিলেন । স্বাভাবিক অবস্তাঞ্জ সৰ্ব্বদ। কিয়ৎপরিমাণ শোণিত-রস নাড়ীর ভিতর তইতে বহির্গত হইয়া উহার চতুর্দিকস্থ স্থানে গমন করে এবং ঐ রস রসনাড়ী দ্বারা বাচিত হইয়া শরীরের নানাস্তানে সঞ্চালনের পর পুনরায় রক্তস্রোতের সহিত মিলিত হয় । প্রদাহ গ্রস্ত স্থানে এই রক্তরস नाज़ी: ভিতর হইতে অত্যন্ত অধিক পরিমাণে নিগত হয় । এই রসের দ্বারা শ্বেত কণিকাগুলির গতির সাহায্য হয় এবং অল্পক্ষণ অধ্যেই অণুবীক্ষণ যন্ত্রনিম্নস্থ সমস্ত স্থানই তাহীদের দ্বারা পূর্ণ হয় । এই সময় শ্বেত কণিকা ভিন্ন আর কিছুই দেখা যায়ু না । নাড়ী হইতে বহির্গত হইয় লোহিত কণিকাগুলি নাড়ীগুলির নিকট থাকে, শ্বৈত কণিকাগুলি नाङ्के হইতে দূরে যায় – * ক্রমশঃ)