পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্বাভাবিক বেগ অধিক ক্ষণ থাকে না ; ক্ষণকাল পরেই বেগের হ্রাস হয় এবং তৎপরে য তক্ষণ প্রদtহ থাকে, ততক্ষণ ঐ স্থানের নাড়ীমধ্যস্থ রক্তস্রোত মন্দ মন্দ চলিতে থাকে । এই প্রারম্ভিক প্রসারণের কাবণ সম্বন্ধে অনেকে অনেক প্রকার অনুমান করেন । কেহ কেহ বলেন নাড়ীর প্রাচী রস্থ পেশী-স্থত্রেব আকুঞ্চন শক্তির লোপই ইছার কারণ"। অপর কেহ কেহ বলেন, কশেরুকা মজ্জার ক্রিয় দ্বারা স্থানীয় নাড়ী গুলি প্রসারিত হয । কারণ কশেরুকা মজার সহিত কোন স্তানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হইলেও তথাকার নাড়ীর এই প্রদাহ কালীন প্রসারণ দেখা যায় । তৃতীয় মত এই যে, নাড়ী গুলির প্রাচীবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্নায়ুগ্রন্থি আছে । তাহারা সৰ্ব্বদং নাড়ী প্রাচীবের পেশীস্বত্রগুলিকে উত্তেজিত রাখিয় তাহাদিগকে ঈষৎ আকুঞ্চি ত অবস্থায় রাখে । যখন কোন কারণে এই গ্রন্থি গুলির ক্ষমতা লোপ পায়, তখন পেশী আকুঞ্চন কমে এবং নাড়ী প্রসারিত তুয় । কেহ কেহ বলেন, প্রদাহের সময় এই নাড়ী প্রাচীরস্থ স্নায়ুগ্রন্থির ক্ষমতার লোপ হয় । কিন্তু এই তিনটী মতের মধ্যে ফোনটি সত্য তাহার এখনও স্থিরতা নাই । উপরে যে বিষয়গুলি বিবৃত হইল, সে সবই রক্তাধিক্য স্থানে দেখা যায়। কিন্তু পরক্ষণেই প্রদাহের প্রকৃত ঘটনাগুলি পওয়া যায় । রক্তবুল নাড়ীগুলির আয়তন ক্রমাগত বৃদ্ধি হইতে থাকে, অবশেষে উহা স্বাভাবিক অবস্থার দ্বিগুণ হয় । তাহদের স্পন্দন খুব বৃদ্ধি পায় । কৈশিক গুলি এই মত ঠিক নহে, রক্তকণিকা দ্বারা একবারে পরিপূর্ণ হইয়া যায়। ঐ সরল কণিকা দেখিলেই বোধ হয় যেন জমিয়া একত্র হইয়া গিয়াছে । সকল নাড়ীতেই রক্ত শ্রোতের বেগ ক্রমে ক্রমে মন্দীভূত হইয়া আইসে এবং অবশেষে স্রোত বন্ধ হইয়া যায় । ইহাকে নিশ্চল অবস্থা বলা যায় (stnsis), এই সময় কোন একটি শিরা অণুবীক্ষণে পরীক্ষা করিলে কতকগুলি নুতন ঘটনা দেখা যায়, সাধারণতঃ সুস্থ অবস্থায় শিরা ও ধমনী গুলির কেবল মধ্যভাগেই অধিক রক্তকণিকা থাকে। তাহার রক্তস্রোতের ঠিক মধ্য ভাগ দিয়া চলিয়া যায় । শ্বেত ও লোহিত কণিকা সব একত্র হইয়া এক স্তন্তরূপে রক্তস্রোতের এই ভাগ দিয়া সঞ্চালিত হয় । নাড়ীর প্রাচীরের নিকট কণিকা থাকে না, কিন্তু প্রদাহের নিশ্চল অবস্থা আরম্ভ হইলে শ্বেত কণিকাগুলি এই মধ্যস্তম্ভ হইতে পৃথক হইয় পড়ে। তাহারা নাড়ীর প্রাচীরের দিকে ছড়াষ্টয় পড়ে এবং কিছু ক্ষণ পরে দেখা যায়, নাড়ীর প্রচীরের গাত্রে সংলগ্ন হইয়া আস্তে অস্তে চলিতে থাকে । অবশেষে উক্ত প্রাচীরের গাত্রে সারি দিয়। অবস্থিতি করে । ইহা একটি নুন্ন পর্দার মত দেখায় । লোহিত কণিকাগুলি কিন্তু এখনও রক্তস্রোতের সঙ্গে মিলিত হইয়। সঞ্চালিত হক্টতে থাকে । এই অবস্থা ধমনী এবং কৈশিকা অপেক্ষ শিরাতেই অধিক স্পষ্টরূপে দেখা যায় । কনহিমের মতে হৃৎপিণ্ডের প্রসারণের সময় ধমনীতে এই অবস্থা মুহূৰ্ত্ত কালের জন্য অবলোকন করা যায় । ইহার পর শ্বেত রক্তকণিকাগুলি