পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >> ] অনেক চিন্তা ও অনুসন্ধানের পর তাহার এই প্রতীতি জন্মিল যে, ইয়ুরোপ হইতে ক্রমাগত পশ্চিম মুখে গমন করিলে অবশেষে আটলাণ্টিক মহাসাগরের পারে এমন কোন দেশ অবশ্যই পাওয়া যাইবেক যাহার সঙ্গিত বহবায়ত ভারতবর্ষ সংযোজিত আছে । কাল সহকারে এই সিদ্ধাস্ত মনোমধ্যে বদ্ধমূল হইলে তিনি প্রথমতঃ জন্মভূমি জেনোয়ার, ও তদনন্তর পটগালের কর্তৃপক্ষীয়দের নিকট আপন মত ব্যক্ত করিয়া প্রার্থনা করিলেন “যদি কৃপা করিয়া সমুদ্রগমনের সমুদায় উপকরণ প্রদান করেন, তাহ হইলে আমি আটলাণ্টিক অতিক্রমণ দ্বারা ভারতবর্ষে যাইবার এক ভূতন পথ প্রকাশ করিয়া দি’ । ক্রমান্বয়ে উভয় স্থানেই ভঁfহার প্র্যর্থন নিষ্ফল হইল । তখন, ১৪৮৪ খৃঃ অব্দে, স্পেন দেশে আসিয়া পুৰ্বোল্লিখিত মৰ্ম্মে তত্ৰতা রাজার সমীপে আবেদন করিলেন । এখানেও পাছে প্রার্থন| বিফল হয় এই আশঙ্কা করিয়া আপনার এক শ্যালককে ইংলণ্ডায় রাজার নিকট পাঠাইয়া দিলেন। তাহার অশ্রাতপুর্ব মত প্রচারিত হইলে অনেকে অনেক প্রকার কহিতে লাগিল । কেহ তাহাকে বাতুল ও কেহ প্রতারক বলিল ; ভ্রান্ত মতাবলম্বী অল্পমতি পণ্ডিতাভিমানা মহাশয়ের, স্বমতবিরুদ্ধ কোন ভূতন প্রসঙ্গ শুনিলে সচরাচর যেমন করিয়া থাকেন তদনুসারে, চাহকার করিয়া উঠিলেন “পুর্বে কেহ কখন ভূগোলও পড়ে নাই, সমুদ্রেও যায় নাই, তাই আজি কমন্বস পণ্ডিত হুইয়া শিখাইতে আসিয়াছেন আটলাণ্টিঙ্কের অপর পারে দেশ আছে। অরে মুখ! আটলাণ্টিকের যে পারই নাই”। এদিগে ধৰ্ম্মশাস্ত্রজীবী গোড়ার বাই বলের বচন উদ্ধৃত করিয়া দেখাইলেন কলম্বসের মত ধর্মশাস্ত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। অতএব সে নাস্তিক ও পাষণ্ড। পুরায়ভের প্রথমকাল হইতেই দৃষ্ট হইতেছে যে,যেকোন সময়ে సి