পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 3 ఏ టి ] নীন্তন ইয়ুরোপীয় পোতবাহীরা কখন উহার চতুর্থাংশেও যায় নাই। কোথায় আফ্রিকার দক্ষিণপ্রান্ত তাহার কিছুই জানিত না। পোতবাহন কার্য্যেও তাহদের বিশিষ্টরূপ নৈপুণ্য ছিল না । এই সকল কারণে পৰ্টুগিজদেগের সঙ্কল্পসাধনের বিস্তর বিলম্ব হইয়াছিল । অবশেষ বহুকাল পরে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত আবিষ্কত হইল। তখনও উহা চক্ষের দেখা মাত্র হইয়াছিল । কারণ যে জাহাজ তন্নিকটবর্তী সমুদ্রভাগে প্রথম উপস্থিত তইয়াছিল উহা ; দুরন্ত ঝটিকায় আক্রান্ত হওয়াতে তীরস্ত হইতে পারে নাই, কেবল দূর হইতে একটা অন্তরীপের অগ্রভাগ মাত্র নিরীক্ষণ করিয়া প্রত্যাগত হইয়াছিল। তথায় দুৰ্জ্জয় ঝটিকায় আক্রান্ত হইয়াছিলেন বলিয়া জাহাজের কাপ্তেন, বার্থলমিউডয়েজ, নবদৃষ্ট অন্তরীপকে “ঝটিকা অন্তরীপ" এই নাম প্রদান করেন। কিন্তু স্বদেশে প্রত্যাগত হইলে তঁহার নিযোগ্য ভূপতি, এত দিনে ভারতবর্ষের পথ প্রাপ্তির চিরকালের আশ1-সফল হইবার সুবিধা হইল মনে করিয়া উহার নাম উত্তমাশা অন্তরীপ द्वाथिटव्ज़ूम । 岑 উত্তমাশা অন্তরীপ অবিস্কত হইল বটে, কিন্তু অতি দীর্ঘ কালে হুইল । অবশিষ্ট পথ অবিস্কৃত হুইতে আরও কতকাল লাগিবে তাহার স্থিরতা ছিল না। অধিকন্তু তৎকালে সমুদ্রযাত্র যেরূপ দীর্ঘকালসাধ্য ছিল তাঙ্গতে পর্ট,গাল হইতে উত্তমাশায় উত্তীর্ণ হইতে বিস্তর দিন লাগিত । সুতরাং ভারতবর্যের সমুদায় পথ আবিষ্কৃত হইলেও অতি দীর্ঘকাল ব্যতিরেকে তথায় গমনাগমন সম্পন্নের সম্ভাবনা ছিল না। এই সকল বিবেচনা করিয়া মহানুভব ও তদানীন্তন সৰ্বশ্রেষ্ঠ পোতবাহী কলম্বসের মনে এই প্রশ্নের উদয় হুইল যে আফ্রিকা বেষ্টন না করিয়া অন্য কোন সহজ পথে ভারতবর্ষে যাওয়া ঘটিতে পারে কি ন! r