পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ やくb ] নামক পক্ষী অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। কণ্ডর গৃধু জাতীয়, ইহার অবয়ব অত্যন্ত বড় দুই পক্ষ বিস্তৃত করিলে পরিমাণে আট দশ হাত হইয়া থাকে। পক্ষী এবং মেষ ও ছাগ শাবক ইহার প্রধান আহার । ইহার সামর্থ্য এত অধিক যে চণ্ডুপুটে একটা গোবৎস্য লইয়। যাইতে পারে। এই পক্ষী অণfগুসের অত্যন্ত উন্নত শিখর সকলে অবস্থিতি করে। ট্রগন এরূপ সুন্দর বিহঙ্গ যে লেখনী বা তুলিকায় কিছুতেই তাহার যথাযথ বিবরণ করা যায় না । ফলতঃ ইহার তুল্য মুদৃশ্য শকুন্ত আর নাই । ইহার অধিকাংশ পক্ষই, বোধ হয়, যেন মুমার্জিত মুবর্ণে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। পেরু দেশে অতি প্রচুর পরিমাণে রৌপ্য পাওয়া যায় এবং উকাই এখানকার প্রধান সম্পত্তি । সোনা, পারা, লোহ1, তাম, টিন ও পাথরিয়া কয়লাও প্রচুর উৎপন্ন হইয়া থাকে। এখানকার ষে সমুদায় আকর খাত হইয়া থাকে তাহদের সংখ্যা সহস্ত্রেরও অধিক । l পুৰ্বকালে পেরুর আদিম অধিৰাসীর অনেক পরিমাণে সভ্য হইয়াছিল। এখানকার প্রাচীন রাজাদিগকে ইঙ্ক কহিত । তাহারা স্থৰ্য্যতনয় বলিয়। রাজ্য মধ্যে পরিচিত ছিল । সুৰ্য্য পৈরবদিগের সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা সুতরাং রাজার উীহার তনয় বলিয়া প্রজাদিগের নিকটে অপরিমিত ভক্তি প্রাপ্ত হইত। কজকো নগরে সুর্য্যদেবের এক বৃহৎ মন্দির প্রতিষ্ঠাপিত ছিল । সেই মন্দিরের অভ্যস্তর সুবর্ণ অস্তিরণে মণ্ডিত ছিল । তন্মধ্যে স্থৰ্য্যের এক প্রকাণ্ড কাঞ্চনময়ী প্রতিমূৰ্ত্তি ও তাহার উভয় পাশ্বে বহু সংখ্যক সুবর্ণ সিংহাসন স্থাপিত ছিল । সেই সকল সিংহাসনে ইস্কাদিগের স্কৃতকায় শবরক্ষণেীষধলিপ্ত হইয়। রক্ষিপ্ত হইত। মন্দিরের সহিত সংযোজিত একট প্রকোষ্ঠে