পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २९* ] চন্দ্রের স্ত্রীমুখবিশিষ্ট রঙ্গতময়ী এক প্রতিমূৰ্ত্তি ও তাহার উভয় পাশ্বে অনেক রজত সিংহাসন স্থাপিত ছিল । সেই সকল সিংহাসনে রাজ্ঞীদিগের মৃতকায় স্থাপিত হইত। মন্দিরের পৌরহিত্যের নিমিত্ত রাজকুলোস্তব কতকগুলি কুমারী নিযুক্ত ছিল। তাহারা যাবজ্জীবন-পুরুষ সংসর্গ করিতে পারিত না। তাহাদিগকে স্থৰ্য্যকুমারী কহিত । - ইস্কার অপরিমিত ক্ষমতাশালী ছিল বটে কিন্তু তাহদের শাসন এরূপ উৎকৃষ্ট ছিল যে প্রজারা জ্ঞান ও সামাজিক ধৰ্ম্ম সমূহের বিলক্ষণ আলোচনা করিতে পারিত। অদ্যাপি ইঙ্কাদিগের নিৰ্ম্মিত পথ, জলপ্রণালী ও বিবিধ সৌধের বিনাশাবশেষ বিজ্ঞাপন করিতেছে যে তাহারা রাজ্যের উন্নতি সাধনে পরাজুখ ছিল না। ১৫৩০ খৃঃ অব্দে গৰ্বিত, অর্থাপশাচ ও পাষণ্ডহৃদয় সম্পানিয়াড়রা ইঙ্কাদিগের রাজ্যে প্রবেশ ও অনতিকাল মধ্যে সমুদায় অধিকার করে। সেই অবধি ১৮২৪ খৃঃ অব্দ পৰ্য্যন্ত পেরু দেশ সেপনের অধীন থাকে। পর বৎসর সেই মহাক্লেশকর অধীনত শৃঙ্খল বিচ্ছিন্ন হয়। স্বাধীন হওয়ার পরে ইয়ুনাইটেড ষ্টেটের অনুরূপ শাসনপ্রণালী প্রচলিত হইয়াছে। এদেশের অনেক স্থান অদ্যপি আদিম আমেরিকদের হস্তগত রহিয়াছে । তাহাদের মধ্যে কতকগুলি অত্যন্ত অসভ্য, অবশিষ্ট কৃষি ও সামান্য শিপে কাৰ্য্য দ্বারা জীবিক নিৰ্বাহ করে। এখানকার ক্রিয়োলের শিষ্টাচারী, আতিথেয় ও দয়াত্র চিত্ত কিন্তু অলস ও জুওয়া খেলায় অত্যন্ত আসক্ত। পেরুর প্রধান নগর লিম, কজকে ও ট্রক্সিলো। লিমা নগর এখনকার রাজধানী। পেরুর জয়কৰ্ত্তা লেপনদেশোদ্ভব সুপ্রসিদ্ধ পিজারে এই নগর সংস্থাপিত করেন