পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । গোলক । ভূগোলবেত্তার সচরাচর দারুময় বৰ্ত্তলে পৃথিবীর প্রতিরূপ অঙ্কিত করিয়া থাকেন। সেই বর্ভূলকে গোলক কহে । পরিমাণ নিরূপণের সুবিধার জন্য র্তাহারা গোলককে তিনশত ষাটি সমান ভাগে বিভক্ত করেন। ঐ প্রত্যেক ভাগকে এক এক অংশ ককে, প্রত্যেক অংশ ষাটি সমান ভাগে বিভক্ত,সেই সকল ভাগকে কলা কহে । প্রত্যেক কলা ষাটি সমান ভাগে বিভক্ত সেই প্রত্যেক ভাগকে বিকল কহে । অংশ, কলা ও বিকল জ্ঞাপক সঙ্কেত এই অংশ বোধক সংখ্যার উপরে () চিহ্ন থাকে, কলাবোধক সংখ্যার উপরে() চিহ্র থাকে, বিকল বোধক সংখ্যার উপরে (*) চিহ্ল থাকে। যথা ৮° ৫' ১৩% ইহার অর্থ ৮ অংশ, পাচ কল৷ ও তের বিকলা । গোলকের উত্তর প্রান্ত হইতে ঠিক মধ্যস্থল নির্ভেদ করিয়া দক্ষিণ প্রান্ত পৰ্য্যন্ত একটা শলাক প্রবিষ্ট আছে ভূগোলবেত্তার এইরূপ কল্পনা করিয়া থাকেন। সেই শলাকার দুই প্রান্তকে দুই মেরু কহে ; উত্তরের প্রাস্তকে উত্তরমেরু ও দক্ষিণের প্রান্তকে দক্ষিণমেরু । গোলকের পৃষ্ঠদেশে কতকগুলি মণ্ডলাকার রেখা দেখিতে পাওয়া যায়। সেই সকল রেখার মধ্যে প্রধান প্রধান গুলির নাম এই ; উভয় মেরুর সমদূরবত্তী স্থানে একটা মণ্ডলাকার রেখা