পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ . . পুর্ব পশ্চিমে গোলকের সমন্তাৎ ব্যাপিয়া আছে । সেই রেখাকে কেহ নিরক্ষরেখা কেহ বিষুবরেখা এবং কেহ নাড়ীমণ্ডল কহেন। নিরক্ষরেখা গোলককে দুই সমাম খণ্ডে বিভক্ত করিতেছে। উত্তরের খণ্ডকে উত্তর গোলাৰ্দ্ধ ও দক্ষিণের খণ্ডকে দক্ষিণ গোলার্দ্ধ কহে । নিরক্ষের উত্তর দক্ষিণ উভয় দিগেই বহু সংখ্যক মণ্ডলাকার রেখা, গোলকের পূর্ব পশ্চিমে ব্যাপিয়া, আছে। সেই সকল রেখার যে কোন একটার সকল স্থানই নিরক্ষ হইতে সমদূরবর্তী অর্থাৎ যে রেখা কোন এক স্তানে নিরক্ষ হইতে ১০ অংশ, সেই রেখ, আর সকল স্থানেও নিরক্ষ হইতে ১০ অংশ, যে টী নিরক্ষ হইতে কোন এক স্থানে ২৫ অংশ, সেইটা আর সর্বত্রও নিরক্ষ হইতে ২৫ অংশ, ইত্যাদি। ঐ সকল রেখাকে অক্ষরেখা কহে। গোলক পৃষ্ঠে আর কতকগুলি মণ্ডলাকার রেখা দেখা যায়, তাহ্যর প্রত্যেকে উভয় মেরু নির্ভেদ করিয়া নিরক্ষের উপর দিয়া গোলকের সমস্তাৎ ব্যাপ্ত আছে । তাহাদিগকে দ্রাঘিমা বলে। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা, ইচ্ছামত, গোলকের সকল স্থানেই অঙ্কিত করা যাইতে পারে। সমুদায় অক্ষ রেখার মধ্যে চারিটার বিশেষ বিশেষ নাম আছে তাহ এই ; কর্কটক্রান্তি, মেষ ক্রান্তি, উদিচ্যরত্ত, উদীচ্যেতররত্ত। কর্কটক্রান্তি নিরক্ষ হইতে ২৩৷০ অংশ উত্তর, মেষক্রান্তি ২৩০ অংশ দক্ষিণ, উদাচ্যৱন্ত উত্তরমেরুর ২৩৷০ অংশ দক্ষিণ, উদীচে্যুতররত্ত দক্ষিণ মেরুর ২৩৷০ অংশ উত্তর । কর্কট ও মেষ ক্রান্তির অন্তৰ্বত্তী ভূভাগ নিয়ত স্থৰ্য্যের ঠিক নিয়ে থাকে এবং তথায় স্থৰ্য্যকিরণ সরলবেগে পতিত হয়। এজন্য এখানে গ্রীষ্মের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব । এই ভূভাগকে সচরাচর গ্রীষ্ম মণ্ডল কহে। গ্রীষ্ম মণ্ডলের উত্তর ও দক্ষিণে উদাচ্য ও