পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >०१ ] রাশি বাষ্প উত্থিত হইয়া স্থৰ্য্যকে কুজৰাটিকা জালে আচ্ছন্ন করে। এই সময় সহস্ৰ সহস্ৰ পশু নিধন প্রাপ্ত হয়, তৃণ সকল প্রখর অতপে দগ্ধ হইয়া যায় । ফলতঃ তৎকালে এই মরুদেশ অত্যন্ত ভয়ানক হইয় উঠে। পৃথিবীর মধ্যস্থল হইতে রুসিয়ার সহিত সমান দূরবর্তী ইয়ুরোপের আর যে সকল দেশ আছে তৎ সমুদায় অপেক্ষা এখানে শীত আতপ উভয়েরই অধিক প্রাচুর্ভাব । লাপলণ্ডের অত্যন্ত উত্তর প্রান্তে শীত গ্রীষ্মের পর্য্যায় এরূপ আশ্চৰ্য্য যে, শুনিলে চমৎকৃত হইতে হয়। এই অংশে গ্রীষ্মকালে ছয় মাসের মধ্যে স্থৰ্য্য একবারও অস্ত যায় না, শীতকালে ছয় মাসের মধ্যে একবারও উদিত হয় না । সুতরাং এই সকল ভূভাগে সম্বৎসরে একবার দিন ও একবার রাত্রি হয়। দিক ভাগে রাশি রাশি বাস্প উত্থিত হইয়া সুৰ্য্যকে মলিন ও কখন কখন আচ্ছন্ন করে । কিন্তু রাত্রিকালে চন্দ্র অতি নিৰ্ম্মল জ্যোতিঃ বর্ষণ করে এবং অরোর নামক আলোক পদার্থ হইতেও অনেক আলোক প্রাপ্ত হওয়া যায়। রুসিয়ার উত্তরভাগে রাই, যব ও ওট এই তিন প্রকার শস্যই প্রধান। মধ্যস্থলে ও দক্ষিণভাগে অপৰ্য্যাগু গোধূম জন্মে। তামাক, পাট, ভূট্ট প্রভৃতি অনেক উৎপন্ন হয়। ফলের মধ্যে এখানে প্রদেশ ভেদে আতা, কুল, চেরি, পীচ, বাদাম, আঙ্গুর, দড়িম ও তরমুজ প্রাপ্ত হওয়া যায়। রুমিয়ার মধ্যভাগে অনেক বিস্তীর্ণ অরণ্য আছে । সেই সমুদtয় অরণ্য হইতে বর্ষে বর্ষে অনেক টাকার বাহাদুরী কাষ্ঠ নীত হইয়া থাকে । তদ্ব্যতিরেকে রক্ষ বিশেষ হইতে আকোত্র ও টপিনতেল প্রাপ্ত হওয়া যায় । এই সকল অরণ্যে বিস্তর বন্য মধু উৎপন্ন হুইয়া থাকে।