পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سياه د ] আকরিকের মধ্যে এ দেশে, ইয়ুরাল পৰ্বত হইতে সোনা, রূপা, তাম, সাস ও প্লাটিন উৎখাত হইয়া থাকে ; ফিনলণ্ড প্রদেশে তামা ও দস্ত পাওয়া যায় ; মধ্যস্থলে ও দক্ষিণ ভাগে লৌহ উৎপন্ন হয় ; ষ্টেপ প্রদেশে অনেক টাকার লবণ পাওয়া যাইয়া থাকে। y রুসিয়ায় নানাবিধ চতুষ্পদ জন্তু আছে। ষ্টেপ প্রদেশে গো মহিষ প্রভৃতি শৃঙ্গা পশু ও অশ্ব অনেক দৃষ্ট হইয়া থাকে। মেষ ও ছাগ মান স্থানে পাওয়া যায় । অধুন। এ দেশে মেরিনো মেষ ও তিৱৰ্তী ছাগল আনীত ও পোষিত হইয়াছে। এই সকল ব্যতিরেকে উষ্ট, গর্দভ ও শূকরও এ দেশে অনেক আছে । উত্তর ভাগে বলগাহরিণ জন্মে। এই হরিণ লাপল ঞ্জীয়দের সর্বস্ব ধৰ্ম । তাহারা ইহার মাংস ভক্ষণ, দুগ্ধ পান ও চৰ্ম্ম পরিধান করে এবং ইহা কর্তৃক বাহ্য যানে আরোহণ করিয়া স্বদেশীয় বরফময় ভূমির উপর গতায়াত করিয়া থাকে। আরবদিগের পক্ষে উষ্ট যে রূপ উপকার লাপলণ্ডায়দিগের পক্ষে বলগাহরিণও সেই রূপ। ভল্লুক, তরক্ষু, নেকড়েবাঘ, কস্তরিক ও কৃষ্টসার প্রভূতি হরিণ এবং বাবর অদি মুকোমল লোমশ চতুষ্পদ এ দেশের প্রধান আরণ্য জন্তু। রুসিয়ার হ্রদ ও নদী সকলে অপর্য্য;গু মৎস্য জন্মে । রুসিয়ার অধিবাসীরা সম্ৰান্ত লোক, যাজক, নগরবাসী, কৃষক ও দাস এই পাঁচ প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত ; রুসিয়ার অধিকাংশ ভূসম্পত্তি সন্ত্রান্ত লোকদিগের হস্তগত। কিন্তু ইহার বড় লোক বলিয়া রুসিয়াপতি শাসনসংক্রান্ত কোন বিষয়ে ইহাদিগকে আপনার অন্যান্য প্রজ হইতে তাদৃশ বিশেষ করেন না । যাজকের শুল্ক প্রদান ও অপকৰ্ম্ম নিবন্ধন শারীরিক দণ্ড গ্রহণ এই দুই নিয়মের অধীন নহে। অপরাপর সকল বিষয়ে তাহা