[ s ] উদীচ্যেতর রক্ত পর্য্যন্ত ভূভাগে স্থৰ্যকিরণ তিৰ্য্যগভাবে পতিত হয় তাহাতে গ্রীষ্মের অতিশয্য হইতে পারে না কিন্তু যাহা পতিত হয় তাহাতে শীতকেও অতিশয় প্রবল হইতে দেয় না। শীত গ্রীষ্মের সমতা বলিয়া ঐ দুই ভাগকে সমমণ্ডল কহে । উদাচ্য ও উদাচ্যেতর রক্ত হইতে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু পর্য্যন্ত দুই ভূভাগে সুর্য্যের অপেক্ষাকৃত অত্যন্ত হীন প্রখা এবং শ তর দুরন্ত প্রভাব। এজন্য ঐ দুই ভূভাগকে হিমমণ্ডল কহে। নিরক্ষ রেখা হইতে পৃথিলার কোন একস্থানের দূরত্বকে নিরক্ষান্তর কহে। ঐ স্থান নিরক্ষের উত্তরে হইলে উত্তর নিরক্ষান্তর এবং দক্ষিণে হইলে দক্ষিণ নিরক্ষান্তর । সকল দেশীয় ভূগোল বেত্তারাই আপন আপন ইচ্ছামত এক একটা স্তান নির্দিষ্ট করিয়া লইয়াছেন । সেই নির্দিষ্ট স্থান দিয়া যে দ্রাঘিম; অঙ্কিত থাকে সেই দ্রাঘিমাকে প্রাথমিক দ্রাঘিম কহে । প্রাথমিক দ্রাঘিমা হইতে অন্যান্য স্থানের দুরত্বকে দ্রাঘিমান্তর বলে। ঐ স্তান প্রাথমিক দ্রাঘিমার পূর্বে হইলে পূৰ্ব দ্রাঘিমান্তর এবং পশ্চিমে হইলে পশ্চিম দ্রাঘিমান্তর । নিরক্ষান্তর ও দ্রাঘিমান্তর উভয়ই জানিলে গোলকের সকল স্থানই নিরূপণ করা যায় । যথা এক স্থানের নিরক্ষান্তর ১৬' উত্তর এবং দ্রাঘিমান্তর ১৮২০ পূৰ্ব আমরা প্রথমত নিবক্ষের ষোল অংশ উত্তরে আম্বেষণ করি কিন্তু দেখি অসংখ্য স্থানের নিরক্ষান্তর ষোল অংশ উত্তর হইতে পারে অর্থাৎ নিরক্ষ রেখা হইতে ষোড়শাংশ উত্তরস্তিত আ ক্ষরেখা যে সকল স্তান দিয়া চলিয়া গিয়াছে তৎসমুদায়েরই নিরক্ষান্তর ১৬° উত্তর । আমরা আবার জানি যে, যে স্থান অন্বেষণ করিতেছি উহার দ্রাঘিমান্তর ১৮°২০′ পূর্ব । আমরা আমাদের প্রাথমিক দ্রাঘিমা হইতে ১৮°২০′ পূৰ্বে তাম্বেষণ করি ; কিন্তু এখানেও দেখি যে তাসংখ্য স্থানের দ্রাঘি
পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৬০
অবয়ব