পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > t b ) য়দের উৎপত্তি স্থান অদ্যাপি নির্ণয় কয় নাই ; কিন্তু সচরাচর চন্দ্র গিরিই ইহার আকর বলিয়া অনুমিত হইয়া থাকে। বহর এল অজরেক আবিসিনিয়ার অন্তর্গত পৰ্বত হইতে উৎপন্ন হুইয়ছে। উভয়ের মিলিত প্রবাহকে ভূগোলবেস্তার নীল কহিয়া পাকেন । এই নদী, পথি মধ্যে কয়েক বার এ দিগ ও দিগ সঁকিয়, সামান্যতঃ উত্তরাভিমুখে, নিউবিয়া ও মিসরের মধ্য দিয়া, প্রবাহিত হইয়াছে। কেরো নগরের কিয়দূর উত্তরে আসিয়া ইহার জলরাশি দুই প্রধান ও অপরাপর বহু প্রবাহে বিভক্ত হইয়া ভূমধ্য সাগরে প্রবেশ করিয়াছে। প্রধান প্রবাহ দুইটাকে স্ব স্ব মোহনাস্থিত নগরের নামানুসারে ডামিয়েট ও রসেট প্রবাহ কহে। এই দুই প্রবাহের অন্তর্বত্তী ভূভাগ একটী স্বপায়াত দ্বীপ । সেই দ্বীপ দেখিতে মাত্রাশূন্য বকারের ন্যায় (ব) এজন্য উহাকে নীল নদীর বদ্বীপ* বলিয়া আখ্যাত করা সইতে পারে । নীল অববাহিকা, পুর্ব পশ্চিম দুই দিগেই, নদীর খাত হইতে অনতিদুর অন্তরে, পৰ্বতে নিরুদ্ধ। নিরোধক পৰ্বত দুইট নিউবিয়া দেশের অভ্যন্তর হইতে নীলের প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত ধাবমান হইয়া কেরো নগরের অনতিদুর দক্ষিণে আসিয়া পরস্পর অন্তরিত হইয়াছে। পশ্চিমের পর্বত পশ্চিম

  • মনান্য যে যে নদীর মোহনায় ঐ মাকারের দ্বীপ দুষ্ট ছয়, সেই সেই নদীর নামোল্লেখ করিম অমুক নদীর বদ্বীপ কহ মায় । যথা গঙ্গার মোহনায় গঙ্গার বদ্বীপ, বল্লার মোহনায় বল্পীর সদ্বীপ ইত্যাদি । ইঙ্গরেঞ্জীভাষায় বদ্বীপকে ভেরস্ট কহে । গ্রিক ভাষার বর্ণমালায় ডেল্ট নামে একঅক্ষর আছে,সেই অক্ষরের আকার মাত্রাশূন্য যকারের ন্যায়, উহা হইতেই ইঙ্গরেজের নদীর মোহনাস্থিত বদ্বীপকে স্কেলট কন্থে }

+ কোন নদীর উভয় দিগের যতদূরের জল আসিয়া সেই নদীতে পড়ে ভঙ্গদূরের ভূমিকে সেই নদীর অববাহিক কহ য য়।