পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ } 4 ఫి } উত্তরে ধাবিত হইয়া স্কেন্দিরিয়া নগরের সমীপে উপস্থিত্ত হইয়াছে, আর পুরের পর্বত পূর্ব দিগে যাইয়া লোহিত সাগরের উত্তর উপকূলে বিস্তৃত রহিয়াছে। এই দুই পৰ্বতের উচ্ছায় কুত্ৰাপি ১,৩০০ হস্তের অধিক নহে, প্রত্যুত স্থানে স্থানে ইহাদের শিখর নিতান্ত নিয় । ইহাদের পরস্পর অন্তর গড়ে আড়াই ক্রোশের অধিক নহে । কেরো নগরের প্রায় ২৭ ক্রোশ দক্ষিণে পাশ্চাত্য পৰ্বতে একটা ফাটল দৃষ্ট হয় । সেই ফাটলমুখে নীলের এক শাখা প্রবিষ্ট হুইয়া ফেয়াম নামক প্রদেশে প্রবেশ করিয়া উহাকে বৃক্ষ লতাদিতে বিভূষিত করিয়াছে। নীলের উভয় তীরে অগণ্য শস্যক্ষেত্র ও ক্ষুদ্র দ্র তালী নিকুঞ্জ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রত্যেক নিকুঞ্জে এক এক ক্ষুদ্র গ্রাম প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। নীলের বদ্বীপের ভূমি নিম, সমতল ও পললময়। উহাব উপরিভাগ বহু ল কৃত্রিম নদীতে বিচ্ছিন্ন ও নানা প্রকার রক্ষ ওষধিতে পরিশোভিত। বদ্বীপের উভয় প্রশ্বের কিয়দুর পর্যস্ত ভূমিও সমতল, পললময় ও উর্বর । নীলের মোহানায় অনেক লবণাস্তু ক্রদ ও ঝিল দৃষ্ট হইয় থাকে। নীলের পাশ্চাত্য পৰ্বতের পশ্চিমের ভূমি সর্বত্রই মরু, কেবল মধ্যে মধ্যে কতিপয় বিচ্ছিন্ন উর্বর ভূমি খণ্ড দুষ্ট হুইয় থাকে। সেই সকল উর্বর খণ্ডকৈ ওয়েসিস কহে । উহারা দেখিতে সাগরান্তর্গত দ্বীপের ন্যায়, বিশেষ এই ষে, দ্বীপ চতুর্দিকস্ত জলের অপেক্ষা উন্নত. কিন্তু ওয়েসিস চতুৰ্দ্দিকস্ত বালুবাস্তরের অপেক্ষা মগ্ন । ঐ সকল ওয়েসিসের মধ্যে সিওয়া নামে একটা আতিশয় প্রসিদ্ধ । ঐ ওয়েসিস নীলতারস্থিত বেনিসাউয়েফ নামক নগর হইতে ১৩৮ ক্রোশ ঠিক পশ্চিম । ওখানে স্থবিখ্যাত জপিক্টর আমনের মন্দির ছিল ।