পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৬৫ ] যে নাই। আর শিল্পকরেরা যাহাকে ইচ্ছা আপনাদের দ্রব্য বিক্রয় করিতে পায় না, সমুদায়ই র্তাহার নির্দিষ্ট মূল্যে র্তাহরই পাইকেরদিগের নিকট বিক্রয় করিতে হয়। রাজ্য মধ্যে তিনিই এক মাত্র ভূম্যধিকারী, অর্থাৎ প্রজাদের কাহারই নির্দিষ্ট ভূসম্পত্তি নাই ; চামাদের নিকট এত পরিমাণে শস্য লইব অবধারিত করিয়া তাহাদিগকে আপন ভূমি চাস করিতে fদয় থাকেন। মিসরের নৌকা, উক্ট, অশ্ব প্রভৃতি যাবতীয় যানের অৰ্দ্ধেক তাহার এবং সমুদায় ঘরটের মধ্যে এক খানিও অন্যের নাই । মিসরে অনেক প্রকার বাণিজ্য ব্যবসায় সম্পন্ন হয় কিন্তু সকলই তাহার হস্ত দিয়া হইয়া থাকে। প্রথিত আছে মিসর দেশেই বিদ্যা ও শিপেকৰ্ম্মের প্রথম সৃষ্টি হইয়া কালক্রমে তথা হইতেই অন্যান্য দেশে বিকীর্ণ হইয়াছে। এই প্রবাদ সম্পূর্ণ সত্যমূলক হউক বা না হউক তথাচ মিসর দেশ যে অতি প্রাচীনকালেই বিলক্ষণ সভ্য হইয়াছিল তাহার কোন সন্দেহ নাই। অদ্যপি সেই প্রাচীন সভ্যতার ভূরে ভুরি নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। মিসর দেশে যে সকল স্তম্ভ ও সৌধ রহিয়াছে তৎসমুদায়ে পুরাকালের মৈসরদিগের বিভব ও শিল্পনৈপুণ্যের বিলক্ষণ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। বাহুল্য বিবরণ এই পুস্তকের উদ্দেশ্যের বহির্ভূত, এজন্য এস্থলে তৎসমুদায়ের উল্লেখ করা গেল না ; কেবল পিরামিড নামক জগদ্বিখ্যাত কতিপয় স্তম্ভের স্থলমাত্র নিয়ে লিখিত হইতেছে। এই সমুদায় স্তম্ভ ত্রিকোণ, চতুষ্কোণ অথবা তদধিককোণ মেজের উপরে তাম্বর আকারে গ্রথিত অর্থাৎ ইহাদের তলাবিস্তুত, অবয়ব ক্রমশঃ সংকীর্ণ এবং শিখরদেশ স্থচ্যগ্রবৎ সূক্ষ্ম । বৃহৎ বৃহৎ উপলখগু উপৰ্য্যুপরি সংযোজিত করিয়া ইহারা প্রথিত হইয়াছে। শিখরদেশে উঠিতে হইলে ক্রমান্বয়ে সেই