পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ৪ } স্থপতিশাস্ত্র ইত্যাদি শিক্ষা করিবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যালয় আছে । কিন্তু শিক্ষক ও স্বপুস্তকের অসদ্ভাবে এই সকল বিদ্যালয়ের যথোচিত উন্নতি হইতে পায় না। অধিকন্তু মুসলমানের স্বভাবতই বিদ্যার বিশেষ আদর করে না । তাহীদের মতে কোরান পড়াই বিদ্যার সার। কোন কোন বিজ্ঞা মণি ইহাও কহিয়া থাকেন যে, “কোরামই সকল বিদ্যার সার, কোরান বর্হিভূত সমুদায়ই অকৰ্ম্মণ্য। অতএব কোরান পড়িলেই সমুদায় সার বিষয় পড়া হয়, আর কোরানবহিভূত যে কিছু তত্তাবৎই নিতান্ত আমার, সুতরাং পড়িবার প্রয়োজন নাই ।” এরূপ লোকের মধ্যে বিদ্যার সঞ্চার সঙ্কস হয় না । মিসরের শাসনকৰ্ত্তাকে পাস কহে । তিনি নামে তুরুঙ্গপতির অধীন, কার্য্যে সম্পূর্ণ স্বাধীন। উহার শাসনে নাম প্রকারে মিসরের শ্রীরদ্ধি হইয়াছে কিন্তু তথাপি চাহাকে সৎপরে:নাস্তি যথেচ্ছাচারী কহিতে হয় । তিনি বহুসংখ্যক সেনা ও রণতরি সংগ্ৰহ করিয়া মিসরের পরাক্রম বুদ্ধি করিয়াছেন, স্থানে স্থানে বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া রাজ্যের ভবিষ্যৎ সভ্যতার বীজ বপন করিয়াছেন, সুবুদ্ধি ও কর্মদক্ষ বিদেশীয়দিগকে বিবিধমতে উৎসাহ দিয়া স্বরাজ্যে রাথিয় থাকেন এবং অপেক্ষাকৃত মুবুদ্ধি প্রজাদিগের মধ্যে অনেককে বিদ্যবিশারদ করিবার মানসে মুশিক্ষার্থে ফ্রান্সদেশে প্রেরণ করিয়াছেন । পরন্থ উহার অনুমতি বিন! প্রজারা নিশ্বাস ফেলিতে পায় না বলিলেই হয় । তিনি যে মজুরি নির্দ্ধারিত করেন তাহতেই গটিতে হয়, যাহাকে যে ব্যবসায় অবলম্বন করিতে কঙ্গেন তাহাকে তাঙ্কাই করিতে হয়,এবং সেখানে যে প্রকার শস্য রোপণ করিতে আদেশ করেন, কাহার সাধ্য তাঙ্কার অন্যথা করে । শিপেকৰ্ম্মও তিনি স্বেরূপ বলেন তদ্বিরুদ্ধ বা বহি ভূত করিবার