পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাছ থেকে বাস সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আদায় করে ছাড়ত। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবকে দ্বাটাতে শ্ৰীধনও কম বিমুখ নয়। তবে, স্বাৰ্থ মানুষকে শক্ত করে, বিপদ সাহস যোগায়। তাছাড়া গাড়ির সামনে দাড়িয়ে সেলাম করে বাস সম্পর্কে একটু বিশদ বিবরণ জানতে চাইলে তার উপর দিয়ে মিঃ সেন গাড়ি চালিয়ে দিতে পারতেন না। সে দিনকাল যে আর নেই, শ্ৰীধনের পর্যন্ত তাতে বিশ্বাস জন্মেছে। বাস কখন আসবে কেউ বলতে পারে না। তবে শেষ পর্যন্ত এসে যে পৌছবে তাতে অনেকেরই সন্দেহ নেই। সেন সাহেব স্পষ্টই বলে গেছেন বাস আসবে-দেরি করে আসবে। বাস কি না এসে পারে ? কুমড়ো বিক্রীর আগ্রহে গোবধানেরও মনে হল, বাস আসবে। বাড়ি গিয়ে কুমড়োটা এনে রাখা ভালো । কখন বাস এসে পড়বে কে জানে! গরু মহিষ তার তখন ঘরে চলে গেছে । গোবধােন তাড়াতাড়ি বড় রাস্তা ছেড়ে গায়ে যাবার সরু মাটির পথে নেমে গেল। গায়ের কোনো ঘরেই এখনো আলো জলেনি। কয়েক মুহূতের জন্য যে সন্ধ্যাদীপ জেলে BDD SDBDBB DDLE B BB DLD DBBY DKBDBDDO YYSSG tY গুলির আর জলে উঠতে বেশি দেরি নেই, দিনের আলো স্নান হয়ে a প্ৰতিদিনের মতো শ্ৰীমন্তসহায় পুরানো মন্দিরের সিড়িতে এসে বসেছে। প্রাচীন বিষ্ণু মন্দির, এদিকে এরকম বহু মন্দির দেখা যায়। খড়পার । মন্দিরের পাথরে ফাটল ধরে আজ পর্যন্ত একটিও আগাছ গজায় নি। পঞ্চাশ ষাট বছর আগে কোথা থেকে এক সন্ন্যাসিনী এসে বিষ্ণুহীন মন্দিরে কুণ্ডেশ্বরীর প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। বৈষ্ণৰ যুগে বিষ্ণুর জন্য নির্মিত মন্দিরটি সেই থেকে সিন্দুর ঢাকা কুণ্ডেশ্বরী দখল করে আছেন। এ সময় মন্দিরের সিড়িতে বসে প্রতিদিন শ্ৰীমন্তসহায় গায়ের লোককে আশ্চৰ্য সব কথা শোনায়। মানুষের আগের কথা, মাঝের কথা,