পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চেয়ে দ্বিধা-সঙ্কোচের ভঙ্গি করে হঠাৎ এগিয়ে গিয়ে স্কুক দিয়ে লে। সুবলকে গাছের রঙ্গে চেপে ধরল, মুখ উচু করল, সুবলের মুখের কাছে কিন্তু পৌঁছল না। গাছে পিিঠ দিয়ে সুবল তখন কাঠ হয়ে গেছে। “মোর চেয়ে তোমার মোক্তারি বড় হল ?” “কত কষ্ট্রেপশার করেছি, দুটো পয়সা পাচ্ছিসুখময়ী এতক্ষণে দুহাতে তার গলা জড়িয়ে ধরেছে। সুবল নরম হয়ে আসছে। একটি হাত তার সুখময়ীর পিঠে আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছে। ‘তুমি না। ফতুর হতে পার আমার জন্যে ? ঘর বাড়ি জমি জায়গা বেচে ঢের টাকা পাবে, ব্যবসা করে রাজা হয়ে যাবে তুমি। রানীর মতো খাটে শুয়ে আমি হাই তুলবো, আর চাকরাণী মাগীগুলোকে হুকুম করব। চানের ঘরে তুমি আমার চান দেখবে-সত্যি দেখাব, দিব্যি *iाव्लाष्ट्रि ।' “আচ্ছা, তাই যাব সুখময়ী, সব বেচে দিয়ে তোমায় নিয়ে বিদেশ যাব। কিন্তু সে তো দুচার দিনে হবে না“মোক্তারি জানো বটে তুমি সুবলবাবু। দাড়াও আমি আসছি কলসী 6.२ ।' কাখে কলসী তুলতে গিয়ে সুখময়ী আজ বোধ হয় এই প্রথম টলে পড়ে গেল। কলসীর জল শুষে নিল মাটি, আর তার ভিজে কাপড় কুড়িয়ে নিল মাটির লাল ধুলো । “আদেষ্টে কত আছে!’ বলে মাটি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ভোতা গলায় সে বলল, “দাড়াও বাবু। একটু সাবুন আনি, নইলে এ মেটে রঙ ওঠবার নয়। ফের নাইতে হবে।” বাড়ির অঙ্গন শূন্য, ঘরের বাইরে কেউ নেই। বাইরে কেউ থাকেও না এ সময়। সুখময়ী রোধে বেড়ে খাইয়েছে সবাইকে, আর কোনো কাজ |òd