পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপসী একটি মেয়ের, বাসর থেকে ৰেলারানী এল খালি বাড়িতে, বিনা ৷ ভূমিকায় আশ্রয় করুল মেঝেতে বিছানো গগনের ময়লা বিছানা। গগন খানিক বুঝল, খানিক বুঝল না। সার্ট কিনে গায়ে চাপাল, চুল * LLLBD DDDB DBBLDS DBBD DBDD S BBBD S SKKK L নিজেকে মনে হতে লাগল কোনো এক দিগ্বিজয়ী সন্ত্রান্ত ভদ্রলোক । পোকায় ধরা জীবন্ত বঁাশের কঞ্চি মনে হোক, মুনিব শশধরের মেয়ে তো বেলারানী। কি মেজাজ সে মেয়ের, কি তেজ ! একজনের দাপটে সারাটা দিন বাড়ির মানুষ যেন তটস্থ হয়ে থেকেছে। গগনকেও সে যে রেহাই দিত তা নয়। রাত দশটায় খেতে বসেই হয়তো তীক্ষু গলায় চেচিয়ে উঠেছে, “এই ঠাকুর ! এই হনুমান! কত নুন দিয়েছ ডালে ?” অন্য কারো কাছে ডাল নুনাকাটা লাগেনি। প্ৰতিবাদ জানাতে সামনে এসে থালার দিকে তাকিয়ে গগন হেসে বলেছে, “পাতের নুন মেখে ফেলছ দিদিমণি ।” “তোমার মুণ্ডু করেছে দিদিমণি । কদিন না তোমায় বলেছি মুখের ওপর জবাব দেবে না ? দূর করে দেব, বজ্জাত কোথাকার।” পরদিন নিজেই দূর হয়ে যাবে ভাবতে ভাবতে গগন বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। বাড়ির শেষ জাগা মুম্বুষটির সাড়াশব্দ শেষ হবার আগেই হয়তো এসেছে বেলারানী। জিদ নেই, তেজ নেই, অহংকার নেই-ভিখারিণীর মতো । অপরিপুষ্ট শরীরটির জন্য শুধু ভিখারিণী অভিসারিকার মতো অবশ্য, অন্য বিষয়ে তার একগুয়েমির বিকার সে সময়েও সমান জোরালাই ९७ । “সব জেগে আছে। কেউ যদি বাইরে আসে ?” “আসুক। কি আর হবে, জানবে। আমি ডরাই না।”