পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃতাৰ্থ হয়ে যায়। নীরদের ছোট-খাট অসুখ হলে সে উদগ্রীব, উৎসুক ? হয়ে থাকে-যা কিছু করার আছে তারও বেশি কিছু করার সাধ চাপা। উচ্ছাসের মতো তার ছোট বুকটিতে ঠেলে উঠতে চায়। নীরদ চোখ বুজে পড়ে থাকে সামান্য অনুখের ধাক্কায়, চারু তার ভারিকি প্রৌঢ় মুখে ক্ষমতা, শাসন ও মমতায় গড়া মৃদু ভয়ংকর রহস্য দেখে দেখে মনের মধ্যে বিহবল হয়ে যায়। অথচ আদুরে মেয়ে সে নয়। সে প্রথম এবং বড় বটে। কিন্তু অনেক গুলির বড়। ভাইবোনের বন্যায় তার অতিরিক্ত আদরের দাবি গোড়ার দিকেই ভেসে গেছে। নীরদ তাকে কোনোদিন বেশি প্রশ্ৰয় দেয় নি, নির্ভরশীলতা যদি প্রশ্ৰয় না হয়। প্রধান সেবিকা বলে বরং শাস্তি ও শাসনটাই বাপের কাছে সে পেয়েছে বেশি। তবে পরিচয়টা তাদের হয়েছে গভীর। মুখের ভাবের একটা ভিন্ন ভাষা স্বষ্টি হয়ে গেছে দুজনের অনৈত্যিক সহানুভূতিতে। চারুর চোখ ভেজা দেখলে নীরদ তাকে আদর দিয়ে ভোলায় না, কিন্তু জিজ্ঞাসা করে, “কি হয়েছে রে ?” LD BB DDD DBS BDDBDBB BB BD BD DD DBBSuBDD cनहे। भी बहक८छ बाद।” নীরদ সত্যই রাগ করে। বলে, “কাপড় নেই! এই না সেদিন একজোড়া কাপড় কিনে দিলাম তোকে, দুমাসও হয় নি। অত কাপড় দিতে পারব না তোমাকে । অত নবাবৰকন্যা হলে চলবে না। তোমার।” খানিকক্ষণ একদৃষ্টি মেয়ের মুখখান দেখে আবার সজোরে মন্তব্য করে, “লক্ষ্মীছাড়া মেয়ে ?” কিন্তু কাপড় চারু পায় । ছুটির দিন সেবার প্রয়োজন ছাড়াই কাছাকাছি একটু এদিক ওদিক নড়ে চড়ে বেড়ালেই নীরদ তাকে সঙ্গে করে কাপড়ের দোকানে নিয়ে যায়।