পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়েছেন। মাধবকে বেশি বলা বাহুল্য, কি ভাবে কি করতে হবে তার পলিসিটা বাৎলে দিলেই সে সব সমঝে নেয়। মাধবের নীতিজ্ঞান সুতি তীক্ষ। 'व गांधएल 65iएल (श्।' “অ্যাঞ্জে হ্যা ।” ‘কলকাতায় লোকারণ্য কেন ? ফুটপাতে মানুষ মরতে আসছে কেন ? কলকাতায় খাবার আছে। বেশি খেতে দিলে চাদিকের লোক বাঙ্গাতলায় হুমড়ি খেয়ে পড়বে। সামলাতে পারবে না । কি অবস্থা ? “ছোট মগের মাপে দেব ভাবছি। বেশি সইতেও পারবে না, পেট খারাপ হয়ে যাবে।” “অন্নই আসল জীবন। ব্যঞ্জন নয়, স্বাদগন্ধ নয়।” “নিশ্চয়ই । ভিক্ষের চালের আবার কঁাড়া-আঁকাড়া ।” “এমন অবস্থা আর হয় নি। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কোথা লাগে ! ভালো। কথা মাধব, অক্ষয়ের বোনটা নাকি নিখোজ হয়েছে ?” “নিখোজ মানে ওই আর কি যা হয় বুঝলেন না ?” 'তা, দোষ কি করে দি ? যুবতী মেয়ের খিদে একটু বেশিই হয়। আহা, এদিকে খিদের জ্বালা, ওদিকে বদলোকের প্রলোভন, যুবতী মেয়ে তো যতই হোক! গায়ের কেউ ওকে দুটি খেতে দিতে পারল না ? ভদ্র ঘরের বাড়ন্ত যুবতী মেয়ে, চাইতে পারে না বলে কি দিতে নেই? ছি ছি ! এ গায়ের কলঙ্ক, আমার কলঙ্ক। বিপাকে পড়লেও ভদ্রঘরে ভিক্ষে নেবে না। লুকিয়ে কিছু কিছু চাল ডাল ঘরে দিয়ে এলে ওদের মানটাও *cs, efefefe sc6 f' “তা দিতে হবে বৈকি ?” “আমার দোষ নেই। অক্ষয়ের বিধবা মা আর যুবতী বোনটা ষে গায়ে পড়ে আছে। কেউ আমায় জানায় নি। তবু আমিই দোষী। জেল থেকে b”ቒ .