পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠি পড়ে মাধব বা ভূপতি কেউ কোনো মন্তব্য করল না। শুমাল টেনে টেনে বলল, ফাজিল মের্মেী- যেমন ভাই তার তেমনি বোন। ভতি হতে চায়নি আমাদের এই স্কুলে ? এ যেন মেয়ে স্কুল, বেড়ে মেয়ে নিলেই হল । বলে কিনা মেয়েদের একটা সেকসান করুন। ওয় হুকুমে মেয়েদের সেকসান খোলা হবে! ছেলেদের স্কুলেই ছেলে شمســــــRCBSonچ “আমার চিঠি দিন!’ ভূপতির মেয়ে ফোস করে উঠে শুমলের হাত। থেকে চিঠিটা ছিনিয়ে নিল।-“আপনি তো যেচে পড়াতে চেয়েছিলেন। ওকে । রোজ গিয়ে পড়িয়ে আসবেন বলেছিলেন।” ভূপতি শ্যামলের হয়ে অপরাধীর মতো বললেন, 'লেখাপড়া শেখার খুব কোক আছে মেয়েটার। বড় উত্যক্ত করে তুলেছিল। শেষে কি আর করি, আমার মেয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে পড়াতাম।” ভূপতি একটা নিশ্বাস ফেললেন, “আর মেয়েদের লেখাপড়া শেখা। ছেলেরাই এডুকেশন পাচ্ছে না, মেয়েরা কি করবে এডুকেশন দিয়ে ?” মাধব বলল, ‘দাঁড়ান, মেয়েদের একটা স্কুল খুলিয়ে দিচ্ছি।” ভূপতি চমকে গেলেন। হ্যামল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। চলে যেতে যেতে ভূপতির মেয়ে থমকে দাঁড়াল। ‘সরকার মশায় রাজী হবেন ? কিন্তু মেয়ে তো বেশি হবে না। ’ “দশটি মেয়ে তো হবে ? তাই ঢের ।” ধনঞ্জয়ের ছোয়াচ লেগে লেগে মাধবের কি হয়েছে, হঠাৎ সৎকর্মের অদম্য প্রেরণা জাগে । মেয়ে স্কুল খোলবার চিন্তায় সে অন্তমনস্ক হয়ে গেল। তাকে যে কমিটি গড়ে, ভলান্টিয়ার জোগাড় করে, সাপ্লাই-এর ব্যবস্থা ঠিক করে, স্কুলের একটা অংশ ঘিরে এবং আরও বহু হাজামা করে অন্নসত্র খুলতে হবে সে ভাবনা প্ৰায় চাপা পড়ে গেল। তখনকার মতো। ধনঞ্জয় রাজী হবেন। খুব সহজেই মাধব তাকে মেয়ে স্কুল খুলতে ゲ論