পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
ভ্রান্তিবিলাস।

 চন্দ্রপ্রভার আক্ষেপ ও অনুযোগ শ্রবণ করিয়া, হেমকুট বাসী চিরঞ্জীব হতবুদ্ধি হইলেন, এবং কি কারণে অপরিচিত ব্যক্তিকে পতি সম্ভাষণ, ও পতিকৃত অনুচিত আচরণের আরোপণ পূর্ব্বক ভৎসন, করিতেছে, কিছুই নির্ণয় করিতে না পারিয়া, স্তব্ধ হইয়া রহিলেন। কিয়ৎ ক্ষণ পরে, কিছু বলা আবশ্বক, নিতান্ত মৌনাবলম্বন করিয়া থাকা বিধেয় নহে, এই বিবেচনা করিয়া, তিনি বিস্ময়াকুল লোচনে মৃদু বচনে কহিলেন, অয়ি বরবর্ণিনি! আমি বৈদেশিক ব্যক্তি, জয়স্থলে আমার বাস নয়; এই সর্ব্বপ্রথম এ স্থানে আসিয়াছি, তাহাও চারি পাঁচ দণ্ডের অধিক নহে। ইহার পূর্ব্বে, আমি আর কখনও তোমায় দেখি নাই। তুমি আমায় লক্ষ্য করিয়া যে সকল কথা বলিলে, তাহার এক বর্ণও বুঝিতে পারিলাম না। বিলাসিনী শুনিয়া, আশ্চর্য্য জ্ঞান করিয়া, কহিলেন, ও কি হে, তুমি যে আমায় একবারে অবাক করিয়া দিলে; হঠাৎ তোমার মনের ভাব এত, বিপরীত হইল কেন। যা হউক ভাই! ইতিপূর্ব্বে, আর কখনও দিদির উপর তোমার এ ভাব দেখি নাই। দিদির অপরাধ কি, আহারের সময় বহিয়া যায়, এজন্য কিঙ্করকে তোমায় ডাকিতে পাঠাইয়াছিলেন।

 এই কথা বলিবামাত্র, চিরঞ্জীব কহিলেন, কিঙ্করকে! কিঙ্করও চকিত হইয়া কহিল, কি আমাকে! তখন চন্দ্রপ্রভা কোপাবিষ্ট হইয়া কহিলেন, হাঁ তোমাকে। তুমি উহার নিকট হইতে ফিরিয়া গিয়া বলিলে, তিনি প্রহার করিলেন; বলিলেন,