পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
ভ্রান্তিবিলাস।
আমরা আপনকার গৃহিণীকে বিলক্ষণ জানি। তিনি নির্ব্বোধ নহেন। তিনি যে, এ সময়ে দ্বার রুদ্ধ করিয়া, আপনাকে বাটীতে প্রবেশ করিতে দিতেছেন না, অবশ্যই ইহার বিশিষ্ট হেতু আছে; আপনি এখন তাহা জানেন না; পরে সাক্ষাৎ হইলে, তিনি অবশ্যই আপনাকে বুঝাইয়া দিবেন। অতএব, আমার কথা শুনুন, আর এখানে দাঁড়াইয়া গোল করিবার প্রয়োজন নাই; চলুন, এ বেলা আমরা স্থানান্তরে গিয়া আহার করি। অপরাহ্লে একাকী আসিয়া, এই বিসদৃশ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করিবেন।

 রত্নদত্তের কথা শুনিয়া, চিরঞ্জীব কিয়ৎ ক্ষণ মৌনাবলম্বন করিয়া রহিলেন; অনন্তর কহিলেন, আপনি সৎপরামশের কথাই বলিয়াছেন, ধৈর্য্য অবলম্বন করিয়া, এখান হইতে চলিয়া যাওয়াই সর্ব্বাংশে শ্রেয়ঃকল্প বোধ হইতেছে। যাহা বলিলেন, আমার স্ত্রী কোনও ক্রমে নির্ব্বোধ নহেন। কিন্তু তাহার একটি বিষম দোষ আছে। আমার বাটীতে আসিতে বিলম্ব হইলে, তিনি নিতান্ত অস্থির ও উন্মত্তপ্রায় হন, এবং মনে নানা কুতর্ক উপস্থিত করিয়া, অকারণে আমার সঙ্গে কলহ করেন। আজ বিশেষতঃ কিঙ্কর তাঁহাকে অতিশয় রাগাইয়া দিয়াছে; তাহাতেই এই অনর্থ উপস্থিত হইয়াছে, বুঝিতে পারিতেছি। অনন্তর, বসুপ্রিয়কে কহিলেন, বোধ করি, এত ক্ষণে হার প্রস্তুত হইয়াছে; তুমি অবিলম্বে বাটী প্রতিগমন কর; আমি অপরাজিতার আবাসে থাকিব, হার লইয়া তথায় আমার সহিত