হিত কামিনী। জানিয়া শুনিয়া কি রূপে অপকর্ম্মে প্রবৃত্ত হই বল। আমি অবিবাহিত পুরুষ। তুমিও অদ্যাপি অবিবাহিতা আছ, বোধ হইতেছে। যদি তোমার অভিপ্রায় থাকে, ব্যক্ত কর। আমি তোমায় সহধর্ম্মিণীভাবে পরিগ্রহ করিতে প্রস্তুত আছি। প্রতিজ্ঞা করিতেছি, পরস্পর যথাবিধি পরিণয়শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইলে, প্রাণপণে তোমার সন্তোষ সম্পাদনে যত্ন করিব, এবং যাবজ্জীবন তোমার মতের অনুব্ররত্তী হইয়া চলিব। প্রেয়সি! বলিতে কি, তোমার রূপ লাবণ্য দর্শনে ও বচনমাধুরী শ্রবণে আমার মন এত মোহিত হইয়াছে, যে তোমার সম্মতি হইলে আমি এই দণ্ডে তোমায় বিবাহ করি। বিলাসিনী শুনিয়া, চকিত হইয়া, কছিলেন, আমি তোমার প্রেয়সী নই, দিদি তোমার প্রেয়সী, তাঁহারেই এই প্রিয়সম্ভাষণ করা উচিত। চিরঞ্জীব কহিলেন, যাহার প্রতি মনের অনুরাগ জন্মে, সেই প্রেয়সী; তোমার প্রতি আমার মন অনুরক্ত হইয়াছে, অতএব তুমিই আমার প্রেয়সী; তোমার দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি; তিনি আমার প্রেয়সী নহেন। এই কথা শুনিয়া বিলাসিনী কহিলেন, বলিতে কি, ভাই! তুমি যথার্থই পাগল হয়েছ; নতুবা এমন কথা কেমন করিয়া মুখে আনিলে। ছি ছি! কি লজ্জার কথা, আর যেন কেহ ও কথা শুনে না। দিদি শুনিলে আত্মঘাতিনী হইবেন। আমি দিদিকে ডাকিয়া দিতেছি; অতঃপর তিনি আপনার মামলা আপনি করুন। তোমার যে ভাব দেখিতেছি, আমি আর একাকিনী তোমার নিকটে থাকিব না।
পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৫২
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
ভ্রান্তিবিলাস।