পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৬১

সঙ্গে এরূপ ব্যবহার করে, আমি তাহাকেও ক্ষমা করিতে পারি না। স্বর্ণকারের অভিপ্রায় বুঝিয়া, রাজপুরুষ চিরঞ্জীবকে অবরুদ্ধ করিলেন। চিরঞ্জীব কহিলেন, আমি যে পর্যন্ত টাকা জমা করিতে, বা জামীন দিতে, না পারিতেছি, তাবৎ আপনকার অবরোধে থাকিব। এই বলিয়া, তিনি বসুপ্রিয়কে কহিলেন, আরে দুরাত্মন্‌! তুমি যে অকারণে আমার অবমাননা করিলে, তোমায় তাহার সম্পূর্ণ ফল ভোগ করিতে হইবেক; বোধ করি, এই দুর্বৃত্ততা অপরাধে তোমার সর্ব্বস্বান্ত হইবেক। বসুপ্রিয় কহিলেন, ভাল দেখা যাইবেক। জয়স্থল নিতান্ত অরাজক স্থান নহে। যখন উভয়ে বিচারালয়ে উপস্থিত হইব, আপনকার সমস্ত গুণ এরূপে প্রকাশ করিব, যে আপনি আর লোকালয়ে মুখ দেখাইতে পারিবেন না। আপনি অধিরাজ বাহাদুরের প্রিয় পাত্র বলিয়া, এরূপ গর্ব্বিত কথা কহিতেছেন। কিন্তু, তিনি যেরূপ ন্যায়পরায়ন, তাহাতে কখনই অন্যায় বিচার করিবেন না।

 হেমকূটবাসী চিরঞ্জীব স্বীয় সহচর কিঙ্করকে জাহাজের অনুসন্ধানে পাঠাইয়াছিলেন। সমুদয় স্থির করিয়া, যার পর নাই আহ্লাদিত চিত্তে, সে স্বীয় প্রভুকে এই সংবাদ দিতে যাইতেছিল, পথিমধ্যে জয়স্থলবাসী চিরঞ্জীবকে দেখিতে পাইয়া, স্বপ্রভু জ্ঞানে তাঁহার সম্মুখবর্ত্তী হইয়া কহিতে লাগিল, মহাশয়? আর আমাদের ভাবনা নাই, মলয়পুরের এক জাহাজ পাওয়া গিয়াছে; তাহাতে আমাদের যাওয়ার সমুদয় বন্দোবস্তু করিয়া