পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৭৭

যৎপরোনাস্তি ব্যাকুল হইয়া, চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাধর নামক এক ব্যক্তিকে ডাকাইয়া আনেন। বিদ্যাধর ঐ পাড়ার গুরুমহাশয় ছিল; কিন্তু অবসরকালে পাড়ায় পাড়ায় চিকিৎসা করিয়া বেড়াইত। অনেকে বিশ্বাস করিত, ভূতে পাইলে, কিংবা ডাইনে খাইলে, সে অনায়াসে প্রতিকার করিতে পারে; এজন্য, সে সেই পল্লীর স্ত্রীলোকের ও ইতর লোকের নিকট বড় মান্য ও আদরণীয় ছিল। বিখ্যাত বিজ্ঞ বৈদ্য চিকিৎসা করিলেও, বিদ্যাধর না দেখিলে, তাহাদের মনের সন্তোষ হইত না। ফলতঃ, ঐ সকল লোকের নিকট বিদ্যাধরের প্রতিপত্তির সীমা ছিল না। সে উপস্থিত হইলে, চন্দ্রপ্রভা, স্বামীর পীড়ার বৃত্তান্ত কহিয়া, তাহার হস্তে ধরিয়া বলেন, তুমি সত্বর তাহাকে সুস্থ ও প্রকৃতিস্ত করিয়া দাও, তোমায় বিলক্ষণ পুরস্কার দিব। সে কহে, আপনি কোনও ভাবনা করিবেন না। আমি অনেক বিদ্যা জানি; আমার পিতা মাতা, না বুঝিয়া, আমায় বিদ্যাধর নাম দেন নাই। সে যাহা হউক, অবিলম্বে তাঁহাকে বাটতে আনা আবশ্যক। চলুন, আমি সঙ্গে যাইতেছি। কিন্তু, উন্মত্ত ব্যক্তিকে আনা সহজ ব্যাপার নহে; অতএব লোক সঙ্গে লইতে হইবেক। চন্দ্রপ্রভা, পাচ সাত জন লোক সংগ্রহ করিয়া, বিদ্যাধর, বিলাসিনী ও অপরাজিতাকে সঙ্গে লইয়া, চিরঞ্জীবের অন্বেষণে নির্গত হইয়াছিলেন।

 যে সময়ে চিরঞ্জীব, ক্রোধে অধীর হইয়া, কিঙ্করকে প্রহার ও তিরস্কার করিতেছিলেন, ঠিক সেই সময়ে চন্দ্রপ্রভা তাঁহার