পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8tyO भछला5&ौब औऊ রূপান্তরও লক্ষ্য করিবার বিষয় । বাংলা-উচচারণে এরূপ সচরাচর इ: भl j * তদৃভব শব্দের বানানে কোনও পরিবর্তন করা হইবে না, ইহাই সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কয়েক স্থলে এই সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম করা হইয়াছে। যেমন : (১) পাশাপাশি দুইটি স্বর-ধ্বনি যদি যুক্ত-ধ্বনি রূপে উচচারিত না হইয়া দুইটি পৃথক্ অক্ষরে (syllable) উচচারিত হয়, তাহা হইলে উহাদের মধ্যস্থলে " য়৷ ” অথবা অন্তস্থ-” বা ’-য়ের আগম হইয়া থাকে । এই উচচারণ-বৈশিষ্ট্য অপভ্রংশ যুগের নিকট হইতে উত্তরাধিকার-সূত্রে আমরা পাইয়াছি এবং বাংলা-লিপিতে এই উচচারণ-বৈশিষ্ট্য পুরাকাল হইতেই স্বীকৃতিলাভ করিয়া আসিয়াছে। এই বিষয়ে পুথিলেখকগণের মধ্যে দুইটি রীতি দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ কেহ ‘’ য়’-য়ের প্রয়োগ বেশী করেন ; এমন কি লেখেন য়ঙ্গ (অঙ্গ), য়নন্ত (অনন্ত) , দাণ্ডায়িল (দাণ্ডাইল)। ২ আবার কেহ কেহ য় বাদ দিতে চান। ফলে তাহারা করিঅ্যা, বৈসএ, পিআন্না, প্রভূতি তো লেখেনই, এমন কি ‘প্ৰিস্তা,’ ‘ ভঅঙ্করী ” লিখিতেও তাঁহাদের আপত্তি নাই। ইহা বিকৃত লিপি-ভঙ্গী ছাড়া আর কিছুই নহে। বাংলা উচচারণের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর ইহা প্ৰতিষ্ঠিত নহে। সাধারণতঃ পশ্চিমবঙ্গের পুথিতে য়-কারের বাহুল্য ও পূর্ববঙ্গের পুথিতে য়-কারের অভাব দেখিতে পাওয়া যায়। আলোচ্য গ্রন্থের সমস্ত পুথিই পূর্ববঙ্গের। সেজন্য এগুলিতে য়-কারের প্রয়োগ নাই বলিলেই চলে। বাংলা বানানে য়-শুশ্রুতির আগমকে চিহ্নিত করাই নিয়ম। এইরূপ বানানই উচচারণ-অনুরূপ ও নির্ভুল। এই লিপিকরণের সহিত সমতা রক্ষা করিবার জন্যই আমরা য়-শুশ্রুতির আগমকে চিহিত করিয়া দিয়াছি। এই জাতীয় শব্দগুলিকে কয়েক শ্রেণীতে ভাগ করা চলে । যেমন : (ক) - ইয়া-প্রত্যয়ন্ত অসমাপিকা ক্রিয়াপদ : সমাপিআ, চলিঅ্যা, পাঠাইঅা, গিআ, ইত্যাদি। (8) esrat it's réir (3rd person present tense) faoi oir? : করএ, বৈসএ, জাল এ , চালা এ , যা এ , যোগাএ , ইত্যাদি। এগুলিকে আমরা যথাক্রমে করয়ে, বৈসয়ে, জালয়ে, চালায়ে, যোগায়ে ছাপাইয়াছি। S. K. Chatterji, The Origin and Development of the Bengali Language, p. 511. v. S. K. Chatterji, ibid., p. 533.