পাতা:মণিপুরের সেনাপতি (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সেনাপতি।
১০১

একটা ময়দানে গমন করি, ও সেই স্থানে মণিপুরিগণ আসিলে অদৃষ্টে যাহাই থাকুক, একবার সম্মুখ-সংগ্রাম করিয়া মরি। সে পরামর্শ কিন্তু হইল না। তখন, সন্ধ্যা ৭টার সময়, চিফ কমিশনর রাজাকে এক পত্র লিখিলেন; কি লিখিলেন, তাহা তিনিই জানেন। কিন্তু অনেকে বলিয়া থাকেন, এই পত্রের মর্ম সন্ধির প্রস্তাব। সেই সময় ইংরাজগণ সন্ধি-স্থাপনের ‘বিউগিল’ বাজাইলেন; দেখিতে দেখিতে, মণিপুরী সৈন্যগণও গুলিবর্ষণে নিরস্ত হইল। ইহার অর্ধ ঘণ্টা পরে রাজার নিকট সেই পত্রের বাঙ্গালা ভাষায় উত্তর আসিল। তাহাতে অনেক কথা লেখা ছিল। মণিপুরিগণ ইংরাজকে যে কতবার সাহায্য করিয়াছে, তাহাতে ইহারও উল্লেখ ছিল। পরিশেষে মহারাজ লিখিয়াছিলেন,—“যদি অস্ত্রশস্ত্র ফেলিয়া দিবা,” তাহা হইলে মণিপুরিগণও নিরস্ত হইবে।

 ইতিমধ্যে একজন মণিপুরী দূত আসিয়া সংবাদ দিল যে, সেনাপতি চিফ-কমিশনরের সহিত দেখা করিয়া এই সম্বন্ধে কথাবার্ত্তা কহিবার নিমিত্ত রাজবাটীর অর্দ্ধপথে দণ্ডায়মান আছেন। সেই স্থানে যদি চিফ কমিশনর সাহেব বিনা অস্ত্রে গমন করেন, তাহা হইলে কথাবার্তা ও বন্দোবস্ত শেষ হইতে পারে। অনেক ইতস্ততঃ করিয়া ও পলিটিকেল এজেণ্টের পরামর্শমতে, পরিশেষে চিফ-কমিশনর সাহেব সেই স্থানে গমন করিতে সম্মত হইলেন; স্কেন, গ্রিমউড, কলিনস্ ও সিনকে সঙ্গে করিয়া সেই স্থানে বিনা-অস্ত্রে ও বিনা-সৈন্যে গমন করিলেন।

 কেল্লার নিকট সেনাপতি টিকেন্দ্রজিতের সহিত সাক্ষাৎ হইল। উভয়ের মধ্যে কি কথাবার্তা হইল। পরিশেষে সকলে কেল্লার ভিতর প্রবেশ করিলেন। সেই স্থানে সেনাপতি ইংরাজ-কর্ম্মচারি,