গণকে সমস্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া সেই রাত্রেই মণিপুর হইতে প্রস্থান করিতে কহিলেন। কিন্তু চিফ কমিসনর সাহেব সেই প্রস্তাবে সম্মত হইতে পারিলেন না। এ সম্বন্ধে নানারূপ আলোচনা প্রায় দুই ঘণ্টাকাল চলিতে লাগিল। সেই সময় পুনরায় মণিপুরী সৈন্যের কোলাহল উথিত হইল। তাহার ভিতর হইতে কেহ কেহ বলিল,—“আমাদিগের ধর্মশাস্ত্রে আছে যে, মণিপুরে একটী ভয়ানক যুদ্ধ উপস্থিত হইবে, ও সেই যুদ্ধে ৫ জন শত্রুপক্ষীয় কর্মচারীকে দেবী-সম্মুখে বলিদান না দিলে সেই যুদ্ধে মণিপুরিগণ জয়লাভ করিতে সমর্থ হইবে না। এই ব্যবস্থা দেখিয়া সেনাপতি সৈন্যগণকে নিরস্ত হইতে কহিলেন। কিন্তু কেহই তাঁহার কথা শুনিল না; বরং কহিল,—“আমরা কেবল তোমার নিমিত্তই আমাদিগের প্রাণ অর্পণ করিতেছি, ও তুমিই এ যুদ্ধের মূল। যদি তুমি এখন আমাদিগের ইচ্ছার প্রতিবন্ধক হও, তাহা হইলে জানিও যে, তুমিও আমাদিগের হস্তে হত হইবে।” সৈন্যগণের এই কথা শুনিয়া সেনাপতি, কুইণ্টন প্রভৃতি ইংরাজ কর্ম্ম চারিগণকে সেই সময় বহির্গত হইতে নিষেধ করিলেন। কিন্তু তাহারা তাহাতে কর্ণপাত না করিয়া সেই স্থান হইতে বহির্গত হইলেন।
*They all went to the road-side and had a talk with the Senapati, and after a few minutes entered into the palace where the Chief did not agree with the terms, viz, to leave Manipur by night, leaving arms behind. Arguments went on for two hours.