পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । তিনি শুনিয়াছিলেন যে, অতীতকালে অনেক বড় বড় সাধু মহাপুরুষ এইরূপে তঁহাকে লাভ করিবার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করিয়াছেন এবং অবশেষে তঁহাদের উদ্দেশ্য সফলও হইয়াছে। তিনি শুনিয়াছিলেন, ভারতের সকল ধৰ্ম্মের একমাত্ৰ লক্ষা- সেই জগন্মাতার সাক্ষাৎ প্ৰত্যক্ষ উপলব্ধি । তঁহার সমুদয় মন প্ৰাণ যেন সেই একভাবে তন্ময় হইয়া গেল । কিরূপে তিনি জগন্মাতাকে লাভ করিবেন, এই এক চিন্তাই তঁহার মনে প্ৰবল হইতে লাগিল। আর ক্রমশঃ তাহার এই ভাব বাড়িতে লাগিলশেষে তিনি-“কিরূপে মায়ের দর্শন পাইব’-ইহা ছাড়া আর কিছু বলিতে বা শুনিতে পারিতেন না। সকল হিন্দু বালকের ভিতরই এই সন্দেহ আসিয়া থাকে । এই সন্দেহই আমুদের দেশের বিশেষত্ব-আমরা যাহা করিতেছি, তাহা সত্য কি ? কেবল মতবাদে আমাদের তৃপ্তি হইবে না। অথচ ঈশ্বর-সম্বন্ধে যত মতবাদ এ পৰ্য্যন্ত হইয়াছে, ভারতে সেই সমুদয়ই আছে। শাস্ত্ৰ বা মতে আমাদিগকে কিছুতেই তৃপ্ত করিতে পরিবে না। আমাদের দেশের সহস্ৰ সহস্ৰ ব্যক্তির, মনে এইরূপ প্ৰত্যক্ষানুভূতির আকাঙ্ক্ষা জাগিয়া থাকে। এ কথা কি সত্য যে, ঈশ্বর বলিয়া কেহ আছৈন ? যদি থাকেন। RGt