( vʻ ) আর যেন আমাকে দেখতে হয় না। পরে বড় পুত্ৰটী আসিয়া নিকটে বসিয়া কিছু কাল চপকরিয়া রহিলেন—ইচ্ছ। হইল কিছু বলিবেন কিন্তু মুখ বাধুই করে, অবশেষে ভরসা করিয়া প্রথমে অtদগই কহিতে লাগিলেন পরে বলিলেন—বাবা স্কুলে গেলে সকলে বলে তুই সেই মাতাল বেটার ছেলে, তুইও বীপের মত হবি, তোর উপরে আমাদের বিশ্বাস কি ? আমি সেই জন্য কাহার কাছে মুখ দেখাতে পারি না। এই সকল কথা শুনিয়া ভবানীবাবু এ ও করিয়া অন্যান্য কথা ফেলেন কিন্তু তাহার পত্নী তাহাতে তোলেন না, তিনি অণপন কথাই উলটে পালটে ধরেন । কাণকে কণা বললে বড় রাগে । ভবানীবাবু আমনি ত্যক্ত হইয়া উঠিয় উত্তর করিলেন—অ ! কি আপদেই পড়লাম ! পোড়া ঘায় আর লুণের ছিটে কেন দাও ? এমত গঞ্ছনা খাওয়া অপেক্ষা যে মরা ভাল ছিল –সে যাহা হউক আমার বড় দিব্য যদি কখন আর মদ স্পর্শ করি।--আজ অবধি শপথ করিয়া ত্যাগ করিলাম। পীড়া আরাম হইলে ডাক্তর সাহেবের সুপারিসে এক সওদাগরের বাটীতে ভবানীবাবুর একটী কৰ্ম্ম হইল । যেমন বিষয় কৰ্ম্মট হইল অমনি তাহার বাটতে লোকের আমদানি হইতে লাগিল । এ বলে দাদা কেমন আছে-ও বলে বাবা ভাল অtছ তো? এ বলে তোমার বাপের সঙ্গে আমার হরিহর আত্মীয়ত ছিল-ও বলে আমি তোমার খড়ীর মামাত ভাই, আমাদের দুজনের এক শরীর ও এক প্রাণ ছিল। সাবেক দলেরও দুই এক জন বেলেল অগসিয়া তুড়ি মারে, গাল গল্প করে ও টুয়াটা অষ্টি গায়। ভবানীবাবু দিনে চঠি যান—ৱাত্রে বাটতে আসিয়া চুপ করিয়া মনমরা হইয় থাকেন। কিছুই ভাল লাগে ন—মব ফাক২ বোধ হয় । কখনই মনে করেন মানুষের একটা না একটা আমোদ না থাকিলে কেমন করিয়া বীচুতে পারে? আমি শপথ করেছি বটে আর মদ ছোব না কিন্তু প্রাণটাতো বাঁচাতে হবে ? আপনি বাচলে বাপের নাম ! যদি এমন নিরামিষ রকমে থাকি তবে হয়োলদেল হয়ে মরে যাব,
