পাতা:মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( s ) অণর অামি বরাবর দেখেছি একটু লাল জল পেটে না পড়লে মনের স্ফূৰ্ত্তি হয় না এবং যাহা খাওয়া যায় ভাল হজমও হয়না । কিন্তু কৰ্ম্মটি গোপনে করিতে হইবে— প্রকাশ হইলে মা এসে ফেচ২ করিবেন—স্ত্রীর গঞ্জনা সহিতে হইবেক—ছেলেটাও আবার টেশ২ করবে । - এই স্থির করিয়া ভবানীবাবু বরফটুকা হইতে লাগিলেন। দশটা বেলার সময় কুঠি যান, দুই প্রহর, বা দুই প্রহর একট, রাত্রে বাটী আইসেন—দুই এক দিন বা একেবারে অগসাই নাই। প্রথম২ পরিবারের মধ্যে কেহ জিজ্ঞাস করিলে বলিতেন কৰ্ম্মের বড় ভিড়–তুিলাৰ্দ্ধ অবকাশ নাই—পরের কৰ্ম্ম করি, সকল শেষ না করিয়া বাটীতে কেমন করিয়া আসিতে পারি? পরে যখন মাত্র বাড়িতে আরম্ভ হইল তখন নিজমুৰ্ত্তি প্রকাশ হইতে লাগিল। এক২ দিন বাবুর কাপড় চোপড়ে কাদা মাখা—পাগড়িটা উড়ে গিয়াছে—চাপকানে একটাওঁ বন্ধক নাই—চাদর খান লুঠিয়ে যাচ্ছে, বাবু টল্‌তেই দ্বার ঠেলছেন । একই দিন রাস্তায় পড়িয়া গিয়াছেন, শরীরে চোট লেগেছে—একই দিন পালিক করিয়া আসতেছেন —বেহীরার ডাকাডাকি করছে, বাবু কখনই উঠবেন না। • একই দিন গাড়ি করিয়া আসিয়া গাড়িতে একবারে ঢুলে পড়িয়াছেন—মাথা খোড়াখুড়ি করিলেও নাবেন না, যিনি আনতে যান তাকেই দুই একটা ইংরাজি খৃস{ থাইতে হয় । & ভবানীবাবুর এইরূপ বাড়াবাড়ি হওয়াতে পরিবারের প্রাণের দায়ে বারম্বার নিষেধ করিতে লাগিলেন কিন্তু বাবু আপন দোষ কখনও স্বীকার কুরেন না, সৰ্ব্বদাই জাপ্য করেণ। পরিবারের মধ্যে যে স্নেহটুকু হইয়াছিল ক্রমেই গেল, ঐরূপ ক্রমাগত করিতেই আবার পক্ষাঘাত উপস্থিত হইল, তখন চাকরের তাঁহাকে পাজাকোলা করিয়া ধরিয়া বাটীর ভিতর লইয়াগেল। রাবু আপন স্ত্রীকে দেখিয়া অতি ক্লেশে বলিলেন-গিলি ! আমি মরি, আমাকে বাচাও,এ যাত্রা বুঝি রক্ষা পাইলাম না। " আপন দোষে পীড়া হইলে পরিবারের কিছু না কিছু