পাতা:মধুমতী - পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
মধুমতী।

মহল আলো লইয়া ভন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিয়া শয়ন কক্ষে ফিরিয়া আসিতেছিলেন, পথি মধ্যে, অন্ধকারে, বোধ হইল, এক জন স্ত্রীলোক দাঁড়াইয়া আছে। জিজ্ঞাসা করিলেন “কে ও?” স্ত্রীলোক কহিল “আমি।” করালী স্বরে চিনিলেন, মধুমতী। পুনরপি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখানে কেন??”

 মধুমতী কহিলেন “কাহাকে খুঁজিতেছ?” করালী কহিলেন, “জানালায় এক বিকৃতাকার মনুষ্য দেখিয়াছি —তাহা কেই।” মধুমতী কহিলেন, “আমি তাহাকে চিনি—ঘরে চল, বলিতেছি।”

 মধুমতী, করালীর পশ্চাৎ তাহার শয্যাগৃহে আসিলেন। তথায়, করালী পালঙ্কের উপর, চরণ লম্বিত করিয়া বসিলেন। মধুমতী তাঁহার চরণতলে বসিয়া, তাঁহার চরণ গ্রহণ করিয়া, নীরব হইয়া রহিলেন। করালী বিস্মিত হইলেন—বলিলেন “কে সে?” দেখিলেন, মধুমতী কাঁদিতেছে।

 মধুমতী বলিলেন, “তুমি আমার জীবন দান করিয়ছি—আমি তোমার নিকট যে ঋণে ঋণী মনুষ্যে তাহা শোধ করিতে পারে না। তাহার শোধ দূরে থাক, আমি তাহার পরিবর্তে গুরুতর অপরাধ করিয়াছি—তাহার প্রা-