য়শ্চিত্ত নাই। তোমার কাছে আমার এই ভিক্ষা—যে জীবন তুমি রক্ষা করিয়াছিলে—তাহা আবার নষ্ট কর—চিকিৎসা শাস্ত্রে কি তাহার উপায় নাই?”
করালী অবাক হইলেন,—বলিলেন, “এসকল কথা কেন? কে সে ব্যক্তি?”
মধুমতী শুষ্ক কণ্ঠে, রোদনোন্মুখবৎ নিশ্বাসে পূর্ব্ব স্মৃতি পুনরুদয়ের কথা বলিলেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে পটু করালী সে বৃত্তান্ত বুঝলেন এবং বিশ্বাস করিলেন। তার পর মধুমতী বলিতে লাগিলেন, “তখন আমার সকল স্মরণ হইল। তখন মনে পড়িল, যে আমি যে তোমার নিকট বলিয়াছিলাম, আমি বিধবা, সে মিথ্যা কথা। আমি সধবা। আমি লালগোপাল দত্তের স্ত্রী। তিনি আজিও জীবিত আছেন। এখন যাঁহাকে দেখিয়াছিলে, তিনিই আমার সেই পূর্ব্ব স্বামী।”
এই বলিয়া মধুমতী কিয়ৎকাল স্তম্ভিতা হইয়া রহিলেন। করালীও নীরব হইয়া রহিলেন। মধুমতী পুনরপি বলিতে লাগিলেন, “যে গীত শুনিয়া আমার সব মনে পড়িল, তাহা তিনি অহরহঃ গাইতেন। আমি তাহা অহরহঃ শুনিতে ভাল বাসিতাম—সে গীত আমার হাড়ে অঙ্কিত ছিল। পরদিন তিনি আসিয়া সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন।”