পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বাদসাহের দরবার। ৩১ স্থানেই কখনও বা তাহারা অপার আনন্দ-নীরে ভাসমান হইয়। ছিলেন, কখনও বা অনন্ত তুঃপ-সমুদ্রে নিমগ্ন হইয়া ছিলেন । যে উদ্যমশীলতা ও দুঃখসহিষ্ণুতা ইংরাজদিগের প্রত্যেক রক্তকণিকার সহিত সংমিশ্রিত, সেই উদ্যম ও সহিষ্ণু তা বলেই তাহারা সমগ্র ভারতভুমির একমাত্র অধীশ্বর হইয়া আবিপত করিতেছেন । ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি নামক এক দল সম্রান্ত ইংরাজ বণিকৃ ভারতবর্ষে বাণিজ্য করিবার জন্য ইংলণ্ডের মহারাণী এলিজাবেথের নিকট হইতে আজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়। ১৫৯৯ খৃষ্টাব্দে এদেশে বাণিজ্য করিতে আইসেন । তাপ্তী নদীর মোহনার নিকট সুরাট নামক এক টা প্রধান নগর ছিল । র্তাহার কয়েক খানি জাহাজ ও কিছু পণ্যদ্রব্য লইয়া আসিয়া প্রথমতঃ ঐ স্থানেই আপনদিগের কুঠি নিৰ্ম্মাণ করেন । জলপথে বাণিজ্য-দ্রব্য আমদানি রপ্তানী করিবার সুবিধা দেখিয় তাহারা সুরাট নগরই মনোনীত কfরয় ছিলেন । বিশেষতঃ তৎকালে দিল্লী, আগর ও অাজমীর এই তিনটা মহানগরী মোগল সম্রাট দিগের বিলাস-ভূমি ছিল। যাহ! কিছু উৎকৃষ্ট সামগ্ৰী ভারতবর্ষ হইতে উৎপন্ন হইত তাহা মোগল দিগের সম্ভোগের জন্য দিল্লী, সাগর ও আজমীরে গিয়া বহুমূল্যে বিক্রীত হইত। সুরাটে ইংরাজদিগের কুঠা স্থাপন করিবার অার একটা উদ্দেশু এই যে, তাহারা অল্পায়াসেই তথা হইতে রাজধানীতে পণ্যদ্রব্যাদি চালান দিতে পারিবেন । কারণ, সুরাট হইতে,ছুইটী প্রশস্ত রাজপথ বাহির হইয়া, একটা দিল্লী ও আগর এবং অন্যটা আজমীর পর্য্যস্ত বিস্তৃত ছিল । সাত আট বৎসর অতীত হইতে না হইতেই বাণিজ্য-লক্ষ্মী