পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్క్రిని প্রবন্ধ-পাঠ । ইংরাজ দিগের প্রতি প্রসন্ন হইতে লাগিলেন । ইংরাজেরা বিলাত হইতে এদেশে ছুরি, কঁচি, তরবারি, ও নানাবিধ ছিট বস্ত্র প্রভূতি সামগ্ৰী গুলি আমদানী করিয়া তৎপরিবত্তে এদেশ হইতে বিলাতে তুলা, রেশম, মসলা ও মহামূল্য মুক্তারত্নাদি রপ্তানী করিয়া লড প্রভূতি সম্রাস্ত সম্প্রদায় দিগের নিকট তাহাদিগকে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রয় করিতেন। কিন্তু অধিক দিন তাহার। শাক্তিসহকারে বাণিজ্য করিতে পান নাই । তৎকালে সুরাট মোগল বাদসাহের অধিকার-ভুক্ত ছিল। ইংরাজদিগের বাণিজ্যে শ্ৰীবৃদ্ধি দেখিয়া মোগল-কৰ্ম্মচারিগণ তাহাদিগের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ ও নানাবিধ অত্যাচার করিতে আরম্ভ করিল । যে সকল পণ্যদ্রব্য আমাদানি রপ্তানি হইত, তাহাদিগের উপর এত অধিক পরিমাণে মাশুল নিৰ্দ্ধারিত হইত যে, ইংরাজেরা তাহ সহজে দিতে পারিতেন না । কখন কখন বিনা কারণে জরিমানা আদায় করিয়া লওয়া হইত। তৎকালে যিনি সুরাটে মোগল দিগের সর্বপ্রধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন, তিনিও কখন কখন ইংরাজ দিগের উৎকৃষ্ট বাণিজ্য-দ্রব্য গুলি মূল্য না দিয়া বলপূর্বক গ্রহণ করিতেন। তৎকালে কোন ইংরাজ এদেশে প্রাণত্যাগ করিলে, র্তাহার সমস্ত সম্পত্তি মোগল কৰ্ম্মচারিগণের হস্তগত হইত ; এবং যদি কোন জাহাজ স্বরাট বন্দরের অদূরে জলমগ্ন হইত, তাহা হইলে তাহাও তাহাদিগের অধিকার-ভুক্ত হইত। সুতরাং এইরূপ অত্যাচারে প্রপীড়িত হইয়া ইংরাজ-বণিক দিগকে অত্যক্ত কষ্ট পgইতে হইত। এরূপ উপদ্রবের কথা লিখিয়া ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির ডিরেক্টরের মোগল রাজপুরুষ দিগকে অনেক আবেদন পত্র পাঠাইয়া