পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N)$ প্রবন্ধ-পাঠ { করিতে ছিলেন । তাহাকে দেখিতে পাইয়। এ ব্যক্তি তরবারি বাহির করিয়া কহিল “জায়, কুকুর : চলিয়৷ আয়” ; এই বলিয়া সে ইংরাজীতে বারম্বার গালাগালি দিতে লাগিল । নবাবের ভ্রাতা ইংরাজী বুঝিতেন না। এজন্য তিনি কিয়ৎক্ষণ অবাক হইয়। রহিলেন । কিন্তু পাচক সাহেব মদে মত্ত হইয়া জ্ঞানশূন্য হওয়াতে সতেজে র্তাহাকে একটি চপেটাঘাত করিলেন । তখন তাহার নিকটবৰ্ত্তী অনুচরের সাহেবকে ধরিয়া লইয়া গিয়া বন্ধনালয়ে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন | রে সাহেব নিজ পাচকের এই রূপ অন্যায় আচরণ দেখিয়া নবাবের ভ্রাতাকে এই মৰ্ম্মে পত্ৰ লিখিলেন যে, “আপনি এই কৃষ্টকে ইচ্ছামত শাস্তি প্রদান করুন।” কিন্তু তাহাকে তার কিছু অধিক দণ্ড না দিয়া তিনি রে সাহেবের নিকট গ্ৰহণকে পাঠাইন দিলেন । রোর অবস্থিতির জন্ত সু টে যথেষ্ট আয়োক্তন করা হইল ; এবং তিনিও তথায় এক মাস কাল অতিবাহিত করিলেন । জাহাঙ্গীর এই সময়ে বায়ু পরিবর্তনের জন্ত আজমীরে অবস্থান করিতে ছিলেন ; সুতরাং রাজধানী আগরা হইতে আজুর্মীপে উঠিয়া আসিয়া ছিল । বর্তমান সময়ের দ্যায় তৎকালে এদেশে রেলওয়ে ছিল না । সুতরাং দূরপথ যাইতে হইলে কষ্টের একশেষ হইত। অত্যন্ত কষ্ট করিয়া আগরায় না গিয়া নিকটে জাজমীরে গেলেই বাদসাহের সহিত সাক্ষাৎ হইবে, এই ভাবি রাজদূত যৎপরোনাস্তি আহলদিত হইলেন । তিনি বাদ সাহের জন্ত যে সকল উপচেকন সামগ্ৰী আনিয়া ছিলেন, তাহ দেখিয়া সুরাটের ‘মোগল কৰ্ম্মচারিগণ অত্যন্ত আনন্দিত হইয়া ছিলেন । তাহার। 4