পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গ জীব ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । ৯১ দিল ; কিন্তু পত্রে কি লেখা রহিয়াছে, তাহ বলিতে পারিল না । হতি পূর্বে সম্রাট, শায়ান্ত খণর প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা দিয়াছিলেন। সেই কারণে তিনি কয়েক জন অশ্বারোহী সৈন্ত পাঠাইয়া গোপনে নহিরিদিলকে ধরিয়া আনাইলেন । পত্র পড়িয়া দেখেন তাহাতে আরঙ্গজীবের কথা । তৎক্ষণাৎ তাহার তাম্বুতে গিয়া পত্র খানি দিলেন । আরঙ্গজীব স্থিরচিত্তে আদ্যস্ত পড়িলেন, কিন্তু কিছুই বলিলেন না । কেবল নহিরিদিলকে একটা গুপ্তস্থানে লুকাইয়। রাখিলেন । সাক্ষাৎ করিবার দিন উপস্থিত হইল । সসৈন্তে দণর অসিয়া পৌছিবেন--কিন্তু তিনি আলিলেন না। আরঙ্গজীবও সাক্ষাৎ করিতে না গিয়া এই বলিয়। সম্রাটকে এক খানি পত্ৰ লিখিলেন,—“আপনি জানেন, আমি অপরাধী । অপরাধীর মনে সৰ্ব্বদাই ভয় ও সন্দেহ জন্মিয় থাকে । সে জন্ত সহসা আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আমার আশঙ্কা হইতেছে । অতএব প্রথমে কতকগুলি দেহরক্ষকের সহিত আপনার নিকটে আমার পুত্ৰ মহ্মদকে পাঠাইব । মক্ষদ যদি সে খানে গিয়া এমন কথা আমাকে বলিয়া পাঠায় ষে, তুর্গের ভিতর অস্থধারী সৈন্য কেহই নাই, তবে আমি আপনার নিকটে যাইতে সাহস করিতে পারি” । পত্র পাইয়া শাজেহান অনেকক্ষণ ভাবিলেন । ভাবিয়া শেষে আরঙ্গজীবের প্রস্তাবেই সম্মত হুইলন । কিন্তু হুবুভ পুত্রকে বন্দী করা চাই। সেজন্ত দুর্গের স্থানে স্থানে কয়েক জন অস্ত্ৰধারী লোক লুকাইয়। রাখিলেন । তদ্ভিন্ন তাহার অন্তঃপুরে তাতার দেশীয় অনেক পরিচারিকা ছিল। তাহারা